সাহি আক্তার, এনবিটিভি: ফেসবুক, ইনস্টা ও ইউটিউবে তার চ্যানেলের নাম ‘Nas Daily’। ফেসবুকে ফলোয়ার্স ২০ মিলিয়নের বেশী আর ইউটিউবে ৬ মিলিয়ন ফলোয়ার্স। কি করে সম্ভব হল এসব। তাদের কন্টেন্টের মূল বিষয় বিভিন্ন দেশ ও শহর নিয়ে দেওয়া অজানা সব তথ্য। সে ভ্রমন বিষয়ক, সংস্কৃতি বা খাদ্য বিষয়ক তথ্য হতে পারে।
‘Nas Daily’ নামে পরিচিতি ছেলেটির নাম ইয়াসিন নাসের, জন্ম প্যালেস্টাইনে। বাবা পেশায় মনোবিদ আর মা স্কুল শিক্ষিকা। চার ভাই বোনের মধ্যে দ্বিতীয় নাসের। প্যালেস্টাইন শহরেই ছোট থেকে বেড়ে ওঠা ও প্রাথমিক পড়াশোনা যাবতীয় সব কিছু। এরপর ১৯ বছর বয়সে আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন উচ্চশিক্ষার জন্য। সেইখানে অর্থনীতি ও কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে পড়া শুরু করেন পান স্কলারশিপও। ২০১৪ সালে গ্র্যাজুয়েট হন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর নামী কোম্পানি তে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসাবে কাজে যোগ দেন। কিন্তু মন বসছিলনা সেই কাজে।
https://www.facebook.com/NasAcademy/
২০১৬ সালে ওই নামী সংস্থার চাকরি ছেড়ে ফেসবুকে ‘Nas daily’ নামে পেজ খোলে। প্রতিদিন ১ মিনিট দৈর্ঘ্যের ভিডিও আপলোড করতে শুরু করে।
২ বছরে ফলোয়ার্স বেড়ে হয় ১০ মিলিয়ন। ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১ মিনিট দৈর্ঘ্যের ভিডিও আপলোড করতে থাকেন প্রতিদিন।২০১৯ সালে খোলেন একই নামে ইউটিউব চ্যানেল। যার বর্তমান ফলোয়ার্স সংখ্যা ৬ মিলিয়ন। এরপর ১০০০টা ১মিনিট দৈর্ঘ্যের ভিডিও সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর ২০১৯ সালের ১ লা ফেব্রুয়ারি সপ্তাহে ১ টি ভিডিও আপলোড করতে থাকেন।
https://www.facebook.com/nasdaily
এখন পর্যন্ত তিনি ১৯৪টি দেশে ভ্রমণ করেছেন। প্রতিটা দেশ ভ্রমন করার পর সেই দেশের জানা অজানা তথ্য নিয়ে পোস্ট করেন ফেসবুক ও ইউটিউবে। বর্তমানে তাদের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষার ফলোয়ার্স সংখ্যা এতো বেশি যে তার ভিডিওর নিচে থাকে উর্দু, হিন্দি, চাইনিজ, জাপানিজ ও থাই ভাষার সাবটাইটেল।