আফগানিস্তানের পাঞ্জশির প্রদেশের পাঞ্জশির উপত্যকা এখনও তালিবানমুক্ত। আগেরবার যখন তালিবান দেশটি শাসন করেছে, তখনও এটি তারা নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকারও গত ২০ বছরে পাঞ্জশিরে ঢুকতে পারেনি। বলতে গেলে দশকের পর দশক এটি মুক্তাঞ্চল হিসেবে থেকে গেছে। তবে অঞ্চলটির দখল নিতে শত শত তালিবান যোদ্ধাকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। তাদের প্রতিরোধে প্রস্তুত রয়েছে পাঞ্জশিরের সিংহ বলে পরিচিত আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমেদ মাসুদের নেতৃত্বাধীন বাহিনী। এতে করে ওই অঞ্চলে ব্যাপক রক্তপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাজধানী কাবুলসহ প্রায় পুরো আফগানিস্তান তালিবানের হাতে চলে এলেও সাবেক সরকারের কিছু সৈন্য পাঞ্জশিরে সমবেত হয়ে প্রতিরোধ চালানোর ঘোষনা দিয়েছে। কাবুলের উত্তরে অবস্থিত এ এলাকাটি তালিবানবিরোধী দুর্গ হিসেবে পরিচিত।তালিবানের আরবি টুইটার অ্যাকাউন্টে রবিবার বলা হয়, স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা শান্তিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ তুলে দিতে অস্বীকার করার পর ইসলামি আমিরাতের শত শত মুজাহিদিন নিয়ন্ত্রণ নিতে পাঞ্জশির যাচ্ছে।
এদিকে ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণে থাকা আহমদ মাসুদ বলেছেন, তিনি আশা করেন যে তালিবানের সাথে শান্তিপূর্ণ আলোচনা হবে। তবে তার বাহিনী যুদ্ধ করতে প্রস্তুত।
তিনি টেলিফোনে রয়টার্সকে জানান, আমরা তালিবানকে বোঝাতে চাই যে আলোচনাই একমাত্র পথ হওয়া উচিত। তিনি পাঞ্জশিরে নিয়মিত সামরিক ইউনিট ছাড়াও বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের জড়ো করেছেন।
১৯৮০-এর দশকে সোভিয়েতবিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলনের অন্যতম নেতা আহমদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমদ মাসুদ বলেন, তালিবান যদি উপত্যকায় হামলা চালানোর চেষ্টা করে, তবে তার বাহিনী প্রস্তুত।
তবে তালিবান বাহিনী তাদের অভিযান শুরু করেছে কিনা তা নিয়ে কিছু সংশয় রয়ে গেছে। তালিবানের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ইতোমধ্যেই পাঞ্জশিরে হামলা শুরু হয়েছে। তবে মাসুদের এক সহকারী জানা, এখনো কোনো আলামত দেখা যাচ্চে না।
একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আটক করা সরকারি ট্রাকের একটি বহরে তালিবানের পতাকা উড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
গত ১৫ আগস্ট তালিবান বাহিনীর হাতে কাবুলের পতন ঘটে। এরপর পাঞ্জশিরের সীমান্তে থাকা বাগলান প্রদেশের তিনটি জেলা থেকে তালেবান বাহিনীকে তাড়িয়ে দেয়া হয় বলে খবরে প্রকাশ।