চলছিল অনলাইনে ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ অধিবেশন। সেখানে হঠাৎই কেন্দ্রের আয়ুষ মন্ত্রকের সচিব বৈদ্য রাজেশ কোটেছা মন্তব্য করে বসেন, যেসব অংশগ্রহণকারী হিন্দি বলতে পারেন না তাঁরা চাইলে অধিবেশন ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারেন। কারণ তিনি ভালো ইংরেজি বলতে পারেন না। স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সচিবের এই মন্তব্যে শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক। প্রবল ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন দক্ষিণ ভারতের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা। তাঁরা ওই সচিবের ভালো ইংরেজি বলতে না পারার ‘যুক্তি’ মানতে নারাজ।
তাঁদের বক্তব্য, কেউ ভালো ইংরেজি নাও বলতে পারেন, তাই বলে এভাবে হিন্দি না জানা অংশগ্রহণকারীদের বেরিয়ে যেতে বলতে পারেন না। আসলে এ থেকে বোঝাই যাচ্ছে কেন্দ্র সবার উপর জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দিতে চাইছে। এমনিতেই কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষা নীতিতে জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে ক্ষুব্ধ দক্ষিণের রাজ্যগুলি। তারপর আয়ুষ মন্ত্রকের সচিবের এ দিনের মন্তব্য সেই ক্ষোভে কার্যত ঘৃতাহুতি দিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আয়ুষ সচিবের বিরুদ্ধে তামিলনাড়ুর ডিএমকে নেত্রী তথা সাংসদ কানিমোঝি সবথেকে বেশি সরব হয়েছেন। তিনি কাটেছার বরখাস্ত করার দাবি জানানোর পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। নেত্রী আরও বলেন, সচিবের এই ধরনের মন্তব্য আসলে জোর করে হিন্দি আধিপত্য চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
সচিবের মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন কার্তি চিদম্বরমও। কার্তি বলেন, ‘হিন্দিতে আয়ুষ প্রশিক্ষণের ফলে তামিলনাড়ুর অংশগ্রহণকারীদের উপেক্ষা করা হচ্ছে। ইংরেজি না জানার বিষয়টি না হয় বোঝা গেল, কিন্তু যেভাবে তিনি যাঁরা হিন্দি জানেন না তাঁদের বৈঠক ছেড়ে যেতে বললেন এবং হিন্দিতে কথা বলার জোর দেওয়ার এই ঔদ্ধত্য মেনে নেওয়া যায় না।’
উল্লেখ্য, শুক্রবারই মহাত্মা গান্ধি আন্তর্জাতিক হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল বলেছিলেন, বিশ্বে ভারতের পরিচিতি হিন্দিতেই। সারাদেশকে জোড়ার মাধ্যম হতে পারে হিন্দি। স্বাভাবিকভাবেই মন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়।