পাকিস্তানের পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে জাতির অগ্রগতিতে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এর মাহাত্ম্য বর্ণনা করলেন ইমরান খান

নিউজ ডেস্ক : পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বরাবর ইসলামপন্থীদের ঘনিষ্ট বলে মনে করা হয়। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই বলেছিলেন, তার দেশ মদিনা সনদ মেনে চলবে। তিনি বারবার ইসলামের পক্ষে আওয়াজ তুলেছেন তার দেশের ভিতরে এবং বাইরে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে তার ভাষণে বিশ্বের সব দেশে ইসলাম বিদ্বেষের বিরুদ্ধে কঠোর আওয়াজ তুলে বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের প্রশংসার পাত্র হয়েছিলেন। সেই ভাষনকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ইতিহাসে সব থেকে জনপ্রিয় ভাষণের তকমা দেয় রাষ্ট্রসঙ্ঘ। এবার নিজের দেশের পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে জাতির উন্নতি এবং অগ্রগতিতে ইসলামের প্রধান স্তম্ভ এবং মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ের আওয়াজ “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এর মাহাত্ম্য বর্ণনা করেন। তার এই ভাষন ও নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। শেয়ার করেন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য ইসলাম প্রিয় মানুষ। তার তারিফ করেছেন বহু স্কলার।

 

তিনি বলেন, “আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) যখন মদিনায় পৌঁছেছিলেন, তখন তাঁর কাছে না ছিল জনবল,না কোনো সেনাবাহিনী, না কোনও সৌহার্দ্যবান মিত্র, তবুও তিনি সে সময়ের পরাশক্তি- বাইজেন্টাইন এবং পারস্য সাম্রাজ্য এর কাছে তৌহিদের প্রতি দাওয়াত পৌঁছে দিয়েছিলেন।”

 

“মুহাম্মদ (সাঃ) পরাশক্তিদের কেবল একটি কথা বলেছিলেন যে আল্লাহ ব্যতীত আর কোন উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল, তাঁর শিক্ষাগুলি অনুসরণ করুন, এটি আপনার নিজের কল্যাণের জন্য। এটাই ছিল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।” পাক পার্লামেন্টে বলেন ইমরান খান।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘লা ইল্লাল্লাহ ইল্লাল্লাহ’ মানুষকে সম্মানিত করে এবং স্ব-সম্মান ছাড়া কোনও মানুষ বড়ো কিছু অর্জন করতে পারে না এবং সম্মান ছাড়া কোনও জাতি উন্নতি এবং অগ্রগতি করতে পারে না।

 

মহান দার্শনিক ও ইতিহাসবিদ ইবনে খালদুনের বরাত দিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, তিনি যখন ইউরোপ থেকে মিশরে ফিরে আসেন, তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে মিশরে অনেক মুসলমান এবং কম ইসলাম রয়েছে, বিপরীতে ইউরোপে মুসলমানের সংখ্যা কম কিন্তু সেখানে ইসলামিক শিক্ষার অধিক প্রচলন আছে।

Latest articles

Related articles