অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনের মাধ্যমে বিপজ্জনক নজির স্থাপন করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ২২টি প্রবাসী ভারতীয় সংগঠন।
একটি প্রেসনোটে তারা জানায়, নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য এবং ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানকে বদলে দেওয়ার জন্যেই এত আয়োজন করা হচ্ছে। এটা স্পষ্টতই বিজেপির নির্বাচনি প্রচারের শুরু।
ওই বিবৃতিতে যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং অস্ট্রেলিয়ার ২২টি প্রবাসী ভারতীয় সংগঠন স্বাক্ষর করেছে।
স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছে সাউথ এশিয়া জাস্টিস ক্যাম্পেইন, সাউথ এশিয়া সলিডারিটি গ্রুপ, অ্যালায়েন্স অ্যাগেইনস্ট ইসলামোফোবিয়া অস্ট্রেলিয়া, কোয়ালিশন অ্যাগেইনস্ট ফ্যাসিজম ইন ইন্ডিয়া, ক্রেগিবার্ন মসজিদ অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টার, হিন্দুস ফর হিউম্যান রাইটস – ইউকে, ইন্ডিয়া সিভিল ওয়াচ ইন্টারন্যাশনাল, উত্তর আমেরিকা, ইন্ডিয়া লেবার সলিডারিটি (ইউকে) ), ইন্ডিয়ান অ্যালায়েন্স প্যারিস, ফ্রান্স, ইন্ডিয়ান আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল, ইন্টারন্যাশনাল সলিডারিটি ফর একাডেমিক ফ্রিডম ইন ইন্ডিয়া (ইনএসএএফ ইন্ডিয়া), মেলবোর্ন গ্র্যান্ড মস্ক, মুসলিম কালেকটিভ, অস্ট্রেলিয়া, পিস ইন ইন্ডিয়া (ইউকে), পেরিয়ার আম্বেদকর থটস সার্কেল অফ অস্ট্রেলিয়া। (PATCA)। অস্ট্রেলিয়া, স্কটিশ ইন্ডিয়ানস ফর জাস্টিস, সাউথ এশিয়ান ডায়াস্পোরা অ্যাকশন কালেক্টিভ (এসএডিএসি), স্ট্রাইভ ইউকে, দ্য রাইটস কালেক্টিভ (ইউকে), ইউকে ইন্ডিয়ান মুসলিম কাউন্সিল, ইউনাইটিং উম্মাহ অফ অস্ট্রেলিয়া অর্গানাইজেশন, এবং উইমেন অ্যাগেইনস্ট কাস্ট।
বিবৃতিতে মন্দির উদ্বোধনের সময় এবং উদ্দেশ্যের সমালোচনা করে বলা হয় এটি ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর আরএসএস মিশনের অংশ।
বিবৃতিতে বলা হয়, মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সক্রিয়ভাবে ভারতে মুসলিম ঐতিহ্যের চিহ্ন মুছে ফেলতে চাইছে। ভিন্নমত পোষণকারী এবং ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানকে প্রতিস্থাপন করার প্রচেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, ২২ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাম মন্দির উদ্বোধন করেছেন। মন্দিরের স্থলে আগে বাবরি মসজিদ ছিল যেটি ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা ভেঙ্গে ফেলে।