আজ ৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। পৃথিবীতে আলাদা করে একটা দিন ধার্য হয়েছে মেয়েদের জন্য। কিন্তু তার মানে এই নয় যে বাকি দিনগুলো মেয়েদের নয়। পৃথিবী সৃষ্টির আদি লগ্ন থেকে সেই ঈভ থেকে আজকের নন্দিনী পর্যন্ত সক্কলে পৃথিবীটাতে মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করে যাচ্ছে। আর সেই লড়াইতে পুরুষ তার পরিপূরক। ১৮৫৭ সালে কাজের সময় কমানো ও বেতন বাড়ানোর দাবিতে পথে নামেন নিউইয়র্কের সুতো কারখানার নারীরা। ১৯১০ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলনে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনের প্রস্তাব দেন। এই দিন ধার্য করার উদ্দেশ্য ছিল নারীদের সমানাধিকার আদায়।আজও চলছে সেই লড়াই। পৌরাণিক কালের গঙ্গা,খনা, সীতা পার হয়ে ইতিহাসের রাজিয়া, গার্গী, মৈত্রী, অপালার বুকের উপর থেকে সেই স্রোত বয়ে এসে লেগেছে কাদম্বিনী, শাহবানু, মেধা পাটেকারদের গায়ে। সেই স্রোতের টানে আজও লড়ে যাচ্ছে প্রতিদিন অফিস যাওয়া মেয়েটা, সারাদিন ক্যাব মোটো চালানো যুবতী, কোভিড ডিউটি করা নার্স – ডাক্তার, ট্রাফিকে দাঁড়িয়ে পুড়তে থাকা পুলিশ বা কোনো এক প্রত্যন্ত গ্রামে ক্ষেতমজুর খাটা রমনী। ওদের লড়াই কিন্তু শুধু বেঁচে থাকার নয়, বাঁচিয়ে রাখারও। নারী একই শরীরে নরম নদী আবার জ্বলন্ত কাঠও। ‘নারী‘ মানেই ‘হ্যাঁ‘ এ ভাবনাই বদল আসলেও মুছে যায়নি। ‘না–রী‘ শব্দের শুরুতেই একটা ‘না‘ আছে। ওটার সম্মান কাম্য।