
ইসরায়েল শুক্রবার ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক কাঠামোর ওপর ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে। যুদ্ধবিমান আর ড্রোন দিয়ে এই আক্রমণে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে এবং শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীদের হত্যা করা হয়েছে। ইসরায়েলের দাবি, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথ থেকে সরাতে এই হামলা জরুরি ছিল।

জবাবে ইরানও শুক্রবার গভীর রাতে ইসরায়েলের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। জেরুজালেম আর তেল আবিবের আকাশে বিস্ফোরণের আলো জ্বলে উঠেছে, ভবনগুলো কেঁপে উঠেছে। রিশন লেজিয়ন শহরে একটি ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ায় ১৩ জন আহত হয়েছেন, একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এই হামলাকে “ভয়ঙ্কর অপরাধ” বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং প্রতিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইরানের জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, ইসরায়েলের আক্রমণে ৭৮ জন নিহত এবং ৩২০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক হুমকি ঠেকাতে এই পদক্ষেপ অপরিহার্য ছিল। তবে ইরানের দাবি, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে। এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেকে আশঙ্কা করছেন, এটি বড় ধরনের যুদ্ধে রূপ নিতে পারে। বিশ্ব নেতারা উভয় দেশকে শান্ত থাকার আহ্বান জানালেও পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে।