
১৩ মে, সোমবার ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকায় দুটি বড় হাসপাতাল, নাসের হাসপাতাল ও ইউরোপীয় গাজা হাসপাতাল—লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এতে অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার সিভিল ডিফেন্সের একজন মুখপাত্র।
নাসের হাসপাতালের পরিচালক জানান, এটি দুই মাসের মধ্যে হাসপাতালটির ওপর দ্বিতীয় হামলা। এ হামলায় হাসপাতালের ৪০টি ইনডোর বেড ও ১০টি আইসিইউ বেড অকেজো হয়ে গেছে। এই হামলায় দুইজন নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে রোগী ও মেডিকেল স্টাফ রয়েছেন। আহত একজন সাংবাদিক চিকিৎসা নিচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে এই হাসপাতালে। হামলায় এই সাংবাদিকের ও মৃত্যু হয়।
জাতিসংঘের ডেপুটি হিউম্যানিটারিয়ান কো-অর্ডিনেটর সুজান্না ত্কালেচ নাসের হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, “এই ধরনের হামলা অগ্রহণযোগ্য। হাসপাতাল ও চিকিৎসাকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”

একই দিনে ইসরায়েলি বাহিনী ইউরোপীয় গাজা হাসপাতালেও একাধিক বিমান হামলা চালায়। এতে ১৯ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ৫ জন নারী। আহত হন ৪০ জনের বেশি, যাদের মধ্যে ৪ জন সাংবাদিক। গাজার সিভিল ডিফেন্স জানায়, উদ্ধারকাজ চালাতে গিয়ে তাদের দুই সদস্য আহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ৭ মে থেকে ১৪ মে পর্যন্ত ২৭৫ জন নিহত এবং ৯৪৯ জন আহত হয়েছেন। ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৫২,৯২৮ এবং আহত ১,১৯,৮৪৬।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত গাজায় ৬৮৬টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলা হয়েছে, ধ্বংস হয়েছে বহু হাসপাতাল ও অ্যাম্বুলেন্স।