দখলদার ইসরায়েল সরকারের কাছে অস্ত্রের চালান সরবরাহে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইতালির বন্দর শ্রমিকরা। গাজায় চলমান বর্বর হামলা ও হত্যাযজ্ঞ চালানোর প্রেক্ষাপটে সেখানে অস্ত্রের চালান পাঠাতে সহযোগিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। জানিয়েছে দ্য নিউ আরব।
ইতালির কন্ট্রোপিয়ানো নামের একটি ইতালীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অস্ত্রের একটি চালান ইসরায়েলে যাচ্ছে, এমন তথ্য পাওয়ার পর ইতালির লিভোরনো শহরের বন্দর শ্রমিকরা তাতে সহযোগিতা না করার সিদ্ধান্ত নেয়। স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, এই অস্ত্র তারা জাহাজে তুলবে না।
অস্ত্র ভর্তি কয়েকটি কন্টেইনার জাহাজে তুলে দেওয়ার জন্য বন্দর শ্রমিকদের বখশিশ দেওয়ার পর ওই শ্রমিকরা জানতে পারে যে, এসব কন্টেইনারবাহী অস্ত্র ইসরায়েলের বন্দরনগরী আশদোদে যাবে। কন্টেইনারগুলো ছিল বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদে ভরা।
কন্ট্রোপিয়ানো লিখেছে যে, এসব অস্ত্র ও বিস্ফোরক ফিলিস্তিনি জনগণকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত হবে। যাদের ওপর ইতোমধ্যে মারাত্মক হামলা চালিয়েছে যাচ্ছে ইসরায়েল। ফলে উদ্বিগ্ন এসব শ্রমিক নতুন করে ইসরায়েলে আরও অস্ত্র পাঠানোর বিরোধিতার সিদ্ধান্ত নেয়।
গত ৭ দিন ধরে গাজা উপত্যকায় ১৮১ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৫২ জন শিশু। আহত হয়েছে হাজারের বেশি মানুষ। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ১৩ জনকে হত্যা করেছে। আর গাজা থেকে ছোড়া রকেট হামলায় ২ শিশুসহ মারা গেছে অন্তত ১০ ইসরায়েলি।
এদিকে, ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সহিংসতাকে “অগ্রহণযোগ্য” বলেছেন পোপ ফ্রান্সিস। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা নিয়ে প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন পোপ ফ্রান্সিস। সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে সাপ্তাহিক ভাষণে বিশেষত শিশুদের মৃত্যুর বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, তারা ভবিষ্যৎ গড়তে চায় না, বরং এটি ধ্বংস করতে চায়। সূত্র : রয়টার্স