কলকাতা, এনবিটিভিঃ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র নেতা আনিস খানকে গত ১৯ শে ফেব্রুয়ারি রাতের অন্ধকারে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়। আনিস খান বিভিন্ন সামাজিক কাজে যুক্ত ছিলেন। একজন প্রতিবাদী মুখ ছিলেন আনিস খান। আনিস খানের হত্যাকাণ্ডে যে পুলিশ প্রশাসন যুক্ত ছিলো সেটা ধীরে ধীরে প্রকাশ্যেই আসছে। বৃহস্পতিবার জামাআতে ইসলামী হিন্দের পশ্চিমবঙ্গের হালকার পক্ষ থেকে প্রেস বিবৃতি দেওয়া হয়।
জামাআতের পশ্চিমবঙ্গের আমীরে হালকা মাওলানা আব্দুর রফিক সাহেব এই ঘটনাকে হৃদয়বিদারক বলে উল্লেখ করে বলেন, “পুলিশ প্রশাসনের যোগসাজশের মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত লজ্জাজনক ও উদ্বেগজনক। অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা ও প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনায় যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তাকে স্বাগত জানাচ্ছি, কিন্তু এই পদক্ষেপ যথেষ্ট নয় বরং ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে দ্রুত আসল অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”
আমীরে হালকা চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে বলেন, “রাজপথে ও রাজ্যজুড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনকে কুর্নিশ জানাই। গোটা বাংলার মানুষ বাংলার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পাশে রয়েছে। তিনি আন্দোলনকারী ছাত্র- ছাত্রীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের কঠোর সমালোচনা করেন। আব্দুর রফিক সাহেব পুলিশের লাঠিচার্জ ও ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রেপ্তারকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেন।
রাজ্যে আনিস খান সহ বিভিন্ন সময়ে মবলিঞ্চিং এর মাধ্যমে নিহতদের ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য লাগাতার ও ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য সকলকেই তিনি আহ্বান জানান।