
ঈদের প্রতীক্ষা আর মাত্র পাঁচ দিন। বাঙালির পেট পুজোর জন্য নির্দিষ্ট কোন দিনক্ষণের প্রয়োজন না হলেও, কিছু উৎসব (যেমন ঈদ, দুর্গাপুজ) বাঙালির রসনা তৃপ্তির অনুঘটকের কাজ করে। বাঙালির এই রসনা তৃপ্তির সর্বস্ব জুড়ে রয়েছে ‘বিরিয়ানি’। বাঙালির কাছে বিরিয়ানি এমন একটি খাদ্য যা ৮ থেকে ৮০ সকলেই সাদরে গ্রহণ করেছে।
ভারতবর্ষে বিরিয়ানির নানান রকম প্রকারভেদ থাকলেও, কাচ্চি বিরিয়ানি জনপ্রিয়তার নিরিখে ভারতবর্ষের নানান প্রান্তের বিরিয়ানিকে একাই বাজিমাত করার ক্ষমতা রাখে। কাচ্চি বিরিয়ানি ছাড়া ঈদের দাওয়াত কার্যত কল্পনা করাও অন্যায়। সর্বোপরি বিরিয়ানি একমাত্র বন্ধন যা এখনো এবার বাংলাকে ওপার বাংলা সঙ্গে বেঁধে রেখেছে।
বিরিয়ানি শব্দের আবির্ভাব হয়েছে ফরাসি শব্দ ‘বিরিয়ান’ থেকে। ফরাসি এই ‘ বিরিয়ান’ শব্দের মর্মার্থ হলো, রান্নার আগে ভেজে নেওয়া। বাস্তবে দেখতে গেলে বিরিয়ানি প্রস্তুতির আগে, চাল ‘ঘি’ দিয়ে ভেজে নেওয়া হয়। এবার আসা যাক কাচ্চি বিরিয়ানি প্রসঙ্গে। ভারতবর্ষে কলকাতা ও হায়দ্রাবাদি বিরিয়ানির সঙ্গে টেক্কা দিয়ে চলেছে কাচ্চি বিরিয়ানি। ‘কাচ্চি’ শব্দটি একটি উর্দু শব্দ ‘কাচ্চা’ থেকে এসেছে। যেহেতু সুগন্ধি যাদের সঙ্গে আছে মাংস মিশিয়ে এই রান্না করা হতো তাই এমন নামকরণ করা হয়। কাচ্চি বিরিয়ানি মূলত দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ গুলিতে অত্যন্ত বেশি জনপ্রিয়।