২২ ও ২৩শে সেপ্টেম্বর ভোট প্রচারে যাচ্ছেন মমতা

তিনি নিজে ভোটপ্রার্থী। সেই ভোটে জেতা তাঁর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এই ভোটে জেতাহারার ওপরেই নির্ভর করছে তাঁর মুখ্যমন্ত্রীত্ব। হেরে গেলে তাঁকে ৫ নভেম্বরের পরে ইস্তফা দিয়ে দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে। সেই সঙ্গে বাংলাতেও এক সাংবিধানিক সঙ্কট দেখা দিতে পারে।

এরপরেও তিনি যাচ্ছেন মুর্শিদাবাদে দলেরই দুই প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচার করতে। তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে গিয়ে দলের প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করবেন। তবে তাঁর সেই সফরের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়ে গেলেও সফরসূচী এখনও চূড়ান্ত ভাবে প্রকাশিত হয়নি।

মুর্শিদাবাদের ২২টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে এবারে ২টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত ছিল দুই প্রার্থীর মৃত্যুর কারনে। বাকি ২০টি আসনে অবশ্য ভোট নেওয়া হয়। সেই ভোটের ফলাফল সামনে আসতেই দেখা যায় জেলার বাকি ২০টি আসনের মধ্যে ১৮টিতেই জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। এখন বাকি ২টি আসনের ভোটগ্রহণের পালা। সন্দেহ নেই একে তো তৃণমূল তৃতীয়বারের জন্য বিপুল জনাদেশ নিয়ে বাংলার ক্ষমতায় ফিরেছ, সেই সঙ্গে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদে ক্লিন স্যুইপে জিতেছে তৃণমূল। ফলে সামসেরগঞ্জ আর জঙ্গিপুরেও যে তৃণমূল অনেকটা এগিয়ে থেকেই ভোটের লড়াইয়ে নামবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই দুই কেন্দ্রের মধ্যে আবার জঙ্গিপুরে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন এবং সামসেরগঞ্জে প্রার্থী হয়েছেন আমিরুল ইসলাম। মমতা এই দুইজনের হয়েই নির্বাচনী সভা করবেন। তৃণমূল চাইছে এই দুই আসনে ভালো ফল করে বিজেপিকে কড়া বার্তা দিতে। এমনিতেই মুর্শিদাবাদ সহ কার্যত বাংলা থেকে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে বাম-কংগ্রেস জোট। মুর্শিদাবাদের দুই আসনেই অবশ্য বাম প্রার্থীরা থাকছেন। তাঁদের সমর্থন দিচ্ছে কংগ্রেসও। তবুও তৃণমূল আত্মবিশ্বাসী এই দুই আসনেই বড় ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবেন তাঁদের দুই প্রার্থী।

Latest articles

Related articles