বাদশা সেখ, ফুরফুরা শরীফ: বিশ্বের মুসলমানদের সবচেয়ে বড় আত্মত্যাগের দিন ঈদুল আযহার দিন। করোনা কালে ঈদুল আযহা উৎসব কিভাবে পালন হবে সে বিষয়ে দাদা হুজুরের দ্বিতীয় বাড়ি সীতাপুর দরবার শরীফে অবস্থিত আল ফারাহ মিশনের সাধারণ সম্পাদক তথা ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা মাওঃ মোঃ তামিম উদ্দিন সিদ্দিকী এক বিবৃতিতে বলেন।
গত বছরেও করোনা মহামারীতে কেটেছে পবিত্র ঈদুল আযহা। পরিপূর্ণ লকডাউন থাকাকালীন ঈদগাহ ময়দানে জমায়েত করে উদযাপিত হয়নি পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামাজ।
এবছরে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কম থাকায় আংশিক লকডাউন ও বিধি নিষেধ ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্য জুড়ে বিধিনিষেধের কারণে বিভিন্ন ধর্মীয় ও রাজনৈতিক উৎসব থেকে শুরু করে বিবাহ- শেষকৃত্য এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান জমায়েত করে হচ্ছে না। সেই দিকে নজর রেখে বঙ্গীয় মুসলিম উম্মাহর কাছে আমার অনুরোধ, সরকারের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা অনুষ্ঠান উদযাপিত করুন। বিশেষ করে মসজিদের ইমামের কাছে আমার অনুরোধ আপনারা নিজ দায়িত্বে নিজ এলাকার মানুষদের সচেতন করুন। প্রয়োজনে নিকটবর্তী থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক দের সাথে যোগাযোগ করুন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করুন। নিজ আয়ত্তের মধ্যে পশু কোরবানি করুন এবং উচ্ছিষ্ট বস্তুগুলি মাটিতে পুঁতে দিন। পরে সেই স্থানে ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে দিন। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা হলো ঈমানের অঙ্গ। ঈদুল আযহা উৎসব পালনের মধ্যে দিয়ে জন মানসে ঐক্য-একতা-শান্তি-সম্প্রীতির বার্তা ফুটিয়ে তুলুন। মনে রাখতে হবে আমার উৎসব পালনে অপর কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কষ্ট না পায়। এটা ইসলাম ধর্মে কঠোর ভাবে নিষেধ আছে। ধর্মাবলম্বী মুসলমান ভাইদের কাছে আমার অনুরোধ, পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজের পর বিশ্ব শান্তি ও করোনা মহামারি থেকে মুক্তি চেয়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া ও প্রার্থনা করুন।