নিউজ ডেস্ক : বিজেপির ব্রিগেড সমাবেশ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া, আজ শুধু একজনকে নিয়েই চর্চা সর্বত্র। অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা মানুষটা ব্রিগেডে পা দেওয়ার আগে থেকেই তাঁর গাড়ি ঘিরে গেরুয়া শিবিরের মানুষের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের সাক্ষী থেকেছে গোটা রাজ্যের মানুষ। কিন্তু মাইকের সামনে আসার পর যেন সবটা মাঠে মারা গেল! বক্তব্যের মাঝেই বললেন, ‘সেই ডায়লগটা মনে আছে? মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে! ওটা তো থাকবেই। আরও একটা স্লোগান আজ দিচ্ছি এখানে দাঁড়িয়ে। আমি জলঢোঁড়াও নই, বেলেবোড়াও নই, আমি একটা কোবরা, গোখরো আমি, এক ছোবলেই ছবি!’ ভোটের প্রচার করতে নেমে প্রকাশ্যে লাশ, খুনের হুমকির সুর মহাগুরুর কণ্ঠে! অবিশ্বাস্য ঠেকেছে, গুন্ডামির ভাষা মনে হয়েছে তাঁর পুরনো পাগল অনুরাগীদের। অবশ্য অনেকে বলেছেন তিনি ঠিক গুন্ডাদের দলেই গিয়েছেন যেখানে গুন্ডামী একটি প্রয়োজনীয় বিষয়। অতি-বাম থেকে বামফ্রন্টের ‘কাছের মানুষ’।
তারপর তৃণমূলের সাংসদ থেকে গেরুয়া গায়ে মাখা নিয়ে তাঁকে দেদার ট্রোল করছেন অনেকেই। শুধু ছবি নয়, মিম, ভিডিও নানা কিছু পোস্ট করেও ট্রোল করা হচ্ছে তাঁকে। এমনকি হ্যাশট্যাগ দিয়ে কেউ কেউ লিখছেন #shameonbjp! একজন লিখেছেন, ‘সিপিএম আমার যৌবনের মৌবন!
তৃণমূল আমার মধ্যবয়সের মস্তানী!
বিজেপি আমার বার্ধক্যের বারাণসী!
মিঠুনদা তো এভাবেও বলতে পারতেন!’ আবার কেউ কেউ লিখেছেন, ‘মিঠুনদা নিছক পরিবর্তন নয়, আদর্শ পরিবর্তনে বিশ্বাসী!’ সবমিলিয়ে সরগরম পরিস্থিতি এখন সর্বত্র। যদিও তার পরিচিতি কমবে না তবে তার বিশ্বাস যোগ্যতা, নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি, গ্রহণযোগ্যতা এবং মানুষের আন্তরিক পুরোপুরি হারালেন পুরো সমাজের কাছে শুধু মাত্র সাম্প্রদায়িক একটি দলের সমর্থক হওয়ার কারণে। অনেকে আবার বলছেন তার এবং তার পরিবারের অন্যান্য দের নামে যে সব মামলা আছে সেগুলো এবার ধামা চাপা দেবে সরকার। এই লক্ষেই বিজেপিতে তিনি।