নিউজ ডেস্ক : কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব হারিয়ে রাজনৈতিক সন্ন্যাস নিয়েছিলেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। এরপর আচমকাই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যজ্ঞে শামিল হতে তৃণমূলে যোগ দেন। ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেওয়ার পর থেকেই বাবুল সুপ্রিয় বাঙালীবাবু হওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। তৃণমূলে যোগ দিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাঙালি-বিদ্বেষী বলে খোঁচা দিলেন আসানসোলের সাংসদ। তিনি বলেন, আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী বাঙালিদের পছন্দ করেন না। তাই গত সাত বছরে বাংলা থেকে একজনও পূর্ণমন্ত্রী হননি। দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিয়েই বাবুল সুপ্রিয় এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে।
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর বাবুল সুপ্রিয় দিল্লি গিয়েছিলেন সাংসদ পদে ইস্তফা দেওয়ার জন্য। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা তাঁকে সময় দিতে না পারায় সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা না দিয়েই তাঁকে ফিরতে হয়। এরপর কলকাতায় ফিরে বুধবার তিনি সরাসরি তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছের লোক বলেই পরিচিত ছিলেন বিজেপিতে। এখন তৃণমূলে গিয়ে সবার আগে তাঁকেই নিশানা করলেন।
তাঁর এহেন মন্তব্যে পালটা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর কথায়,”মন্ত্রিত্ব না পেয়ে তো দল ছেড়েছেন। তখন মত-পথ সব এক ছিল। সবটাই ভাল লাগছিল। এখন তো অন্য কথা বলবেন-ই। উনি আসলে কিছুই জানেন না। দলটাই তৈরি করেছেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। সেই দলে বাঙালি বিদ্বেষ নিয়ে প্রশ্ন তোলা অনুচিত।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বাবুল। দলবদল করার পর এতদিন প্রধানমন্ত্রী বা বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তাঁকে কোনও কথা বলতে শোনা যায়নি। কিন্তু দিল্লি থেকে ফিরে সেই ‘রীতি’ ভাঙলেন বাবুল। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, বাবুল বরাবরই প্রধানমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ভোট প্রচারে এসে আসানসোলের সাংসদের হয়ে সওয়াল করে বলেছিলেন, “মুঝে বাবুল চাহিয়ে।” কিন্তু এবার মন্ত্রিসভা রদলবদলের পরই তাল কাটে। পূর্ণ মন্ত্রিত্ব তো দূরে থাক, প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।