সাইফুল্লা লস্কর, নিউজ ডেস্ক : ৪১ তম গার্লস কপোরেশন কাউন্সিল বা জিসিসির বৈঠকে যোগদান করতে সৌদি আরব পৌঁছেছেন কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল সানি। এবছর বাসীকে সম্মেলনটি সৌদি আরবের উত্তর-পশ্চিম শহর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সেই বৈঠকে যোগদান এর জন্যই কাতারি আমিরের সৌদি আগমন। তবে উল্লেখযোগ্য এবং তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো কাতারি আমির কে স্বাগত জানানোর জন্য আলুলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এটি আরব বিশ্বে এক বড় কূটনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বহু আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ। দুই রাষ্ট্রের প্রধান একে অপরকে আলিঙ্গন করেন বিমানবন্দরেই। তবে মুসলিম বিশ্বের বহু বিশেষজ্ঞ বলছেন এর পিছনে কি সৌদি আরবের ইজরায়েল এবং কাতারের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চুক্তি সম্পাদনের লক্ষ্য?
উল্লেখ্য ২০১৭ সালে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের ঘোষিত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামাসকে আর্থিক সহযোগিতা, মিশরের মুসলিম মুসলিম ব্রাদারহুডকে সমর্থন এবং ইরানের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির অভিযোগের বিরুদ্ধে আর্থিক, সামরিক এবং কূটনৈতিক অবরোধ আরোপ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন। তবে কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ আল সাবা জানিয়েছেন, কাতারের জন্য জল স্থল এবং আকাশসীমার অবরোধ তুলে দেওয়ার জন্য সৌদি আরব এবং কাতারের মধ্যে আলোচনায় মধ্যস্থতার করছে কুয়েত। এ বিষয়ে খুব শীঘ্রই তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি হবে বলেও তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরব গোপনে মরক্কো, সুদান, বাহারাইনের মত মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করেন অনেকে। তবে এক্ষেত্রে সৌদি আরবের প্রকৃত উদ্দেশ্য কি সেটা সময়ই বলবে।