উপনির্বাচনে বিজেপির হয়ে দাঁড়াবেন মুকুল রায়! চানক্যের আজকের মন্তব্যে শুরু গুঞ্জন

জুল হাসান আকন : অসংলগ্ন মন্তব্য করে আবার বিতর্কের কেন্দ্রে মুকুল রায়। কারণ, আজ বিধানসভা থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, উপনির্বাচনে বিজেপির হয়ে তিনি কৃষ্ণনগরে দাঁড়ালে জিতে যাবেন। তবে যদি তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দাঁড়ান তাহলে কি হবে তা মানুষ ঠিক করবে। তৃণমূলের এক হেভীওয়েট নেতার মুখে এমন মন্তব্য শুনে হতবাক রাজনৈতিক মহল। এর আগেও তিনি বলেছিলেন, কৃষ্ণনগরে বিজেপি জিতে যাবে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রথমে অবশ্য ঠিকঠাক বলতে শুরু করেছিলেন মুকুল। দল পাঠালে ত্রিপুরা যাবেন। ত্রিপুরায় তৃণমূলের ফল ভাল হবে। এমনকী, ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতাদের ওপর বিজেপির আক্রমণের নিন্দা করেন মুকুল। বলেন, এটা অন্যায়, অরাজনৈতিক।  কিন্তু এর পরেই উপনির্বাচন নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে মুকুল বলেন, উপনির্বাচনে “বিজেপির হয়ে দাঁড়ালে জিতব। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দাঁড়ালে কী হবে বলতে পারছি না।”

নিয়মিত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে এখন আর দেখা যাচ্ছে না মুকুলকে। মাঝে ২১শে জুলাই তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে দেখা গেছিল মুকুল রায়কে। দিন কয়েক আগে নিজের বিধানসভা কেন্দ্র কৃষ্ণনগর উত্তরে বসে তিনি বলেছিলেন, “উপনির্বাচনে পর্যুদস্ত হবে তৃণমূল কংগ্রেস  হারবে ত্রিপুরাতেও”। যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়ায় এর ফলে। পরে মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় জানান, স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে মুকুল অসুস্থ।

রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা, বঙ্গ রাজনীতির “চাণক্য” বলা হয় যাঁকে সেই মুকুল কেন বারবার এত অসংলগ্ন কথা বলছেন? এটা কি সত্যি অমনোযোগের কারণে নাকি তাঁর নতুন কোনও রাজনৈতিক কৌশল? কেন শারীরিক ও মানসিক অবস্থায় বারবার সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসতে দেওয়া হচ্ছে এই বর্ষীয়াণ নেতাকে? এই প্রশ্ন তুলে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মুকুলের পরিবার।  যদিও তৃণমূল কংগ্রেস থেকে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলে নি। তবে সূত্রের খবর, বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তত বেশ কিছুদিন মুকুল রায়কে  সংবাদ মাধ্যম থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। তবে তার এই অসংলগ্ন কথাবার্তা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিধানসভায় বিজেপি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আদতে কোন দলে আছে তা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এই উত্তর শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিতে পারবেন।

Latest articles

Related articles