গোমাংস খাওয়ার ‘অপরাধে’ পুড়িয়ে মারলো বিহারে গোরক্ষকরা

এনবিটিভি ডেস্কঃ  দেশে প্রতিনিয়ত ইসলাম বিদ্বেষী কার্যক্রম বেড়েই চলেছে। কখনও গো-রক্ষার নামে কখনও বা হিজাবের নামে। এবারবিহারে গোমাংস খাওয়ার ‘অপরাধে’ মুসলিম যুবককে পুড়িয়ে মারলো স্বঘোষিত গোরক্ষকরা। অভিযোগ, প্রথমে মারধর করা হয়, পরে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয় ওই যুবককে। গোরক্ষার নামে চরম নৃশসংসতায় কার্যত শিউরে উঠেছে দেশবাসী।

সূত্রের খবর, মৃতের নাম মহম্মদ খলিল আলম। তিনি জেডিইউয়ের সক্রিয় কর্মী হিসেবেই পরিচিত।

 সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মহম্মদ আলম মাটিতে হাতজোড় করে বসে রয়েছেন। আর তাঁকে ঘিরে রয়েছে বহু স্বঘোষিত গোরক্ষক। আর অনবরত তাকে চড়-থাপ্পর মারছে গোরক্ষকরা। প্রশ্ন করা হচ্ছে, মুরগি-খাসি থাকা সত্ত্বেও কেন গোমাংস খেলেন তিনি? একা তিনি খেয়েছেন, নাকি ছেলেপুলে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও গোমাংস খাইয়েছেন, জানতে চাইছে চড়াও হওয়া যুবকেরা। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বারবার কান মুলছেন মহম্মদ। বলছেন, “এবার ছেড়ে দিন। ভুল হয়ে গিয়েছে। আর কোনওদিন খাবেন না।” কিন্তু কে কার কথা শোনে!

গত শুক্রবার বুড়ি গণ্ডক নদীর তীরে মহম্মদ আলমের দেহ উদ্ধার হয়। কেউ কেউ দাবি করেছেন. তাকে মেরে পুঁতে দিয়ে গিয়েছে গোরক্ষকেরা। আবার কেউ কেউ বলছেন, মারধর করে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাকে।

https://twitter.com/meerfaisal01/status/1496153122657345536?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1496153122657345536%7Ctwgr%5E%7Ctwcon%5Es1_&ref_url=https%3A%2F%2Fwww.sabrangindia.in%2Farticle%2Fmuslim-man-allegedly-lynched-cow-vigilantes-bihar-why-cm-silent

এই খবরটি টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব। একইসঙ্গে সে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতির জন্য এনডিএ জোটকেই দুষেছেন তিনি।

https://twitter.com/yadavtejashwi/status/1496177664159371267?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1496177664159371267%7Ctwgr%5E%7Ctwcon%5Es1_&ref_url=https%3A%2F%2Fwww.ndtv.com%2Findia-news%2Fmuslim-man-beaten-to-death-in-bihar-video-points-to-cow-vigilantes-2784257

পরিবার সূত্রে খবর, ১৬ তারিখ থেকেই নিখোঁজ ছিলেন মহম্মদ আলম। থানায় জানিয়েছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, তার পর থেকেই পরিবারের কাছে একাধিক ফোন এসেছিল। তাতে জানা যায়, মহম্মদ কারোর কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা ধার নিয়েছিল। সেই টাকা ফেরত না দেওয়ায় তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে। টাকা ফেরত না দিলে মহম্মদের কিডনি কেটে নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হচ্ছিল। এর পর নদীর তীর থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়।

তথ্য সূত্র- বাংলার জনরব ডেস্ক

Latest articles

Related articles