
উত্তরপ্রদেশের কানপুর গ্রামীণ এলাকার মহারাজপুর থানার অধীন সরসৌল অঞ্চলে কিশোরের উপরে এক নৃশংস হামলার ঘটনায় স্থানীয়রা স্তম্ভিত। জানা গেছে, ঐ কিশোরকে জোরপূর্বক “জয় শ্রী রাম” দিতে বাধ্য করার চেষ্টা করা হয়েছিল, এবং সে শ্লোগান দিতে অস্বীকার করায় তাকে ভাঙা কাঁচের বোতল দিয়ে খুঁচিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ঘটনাটি গত কয়েকদিন আগে ঘটলেও বিস্তারিত তথ্য সামনে এসেছে সম্প্রতি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরের বয়স আনুমানিক ১৫ বছর। ঘটনার সময় সে বাড়ির কাছে কোনো কাজে বাইরে ছিল। হামলাকারীদের দলটি প্রথমে তাকে তাদের পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে বলে। কিশোরটি রাজি না হলে তারা ধর্মীয় স্লোগান “জয় শ্রী রাম” উচ্চারণ করতে চাপ দেয়। দ্বিতীয়বারও কিশোরের অস্বীকারের প্রতিক্রিয়ায় দলটি হিংস্র হয়ে ওঠে এবং ভাঙা বোতলের টুকরো দিয়ে তার গলায় ও শরীরে আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে সে।
পুলিশি তদন্ত অনুযায়ী, অভিযুক্তদের বেশিরভাগই নাবালক। ইতিমধ্যে ঘটনাটির ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং জড়িত সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। মহারাজপুরের পুলিশ অধিকর্তা এক বিবৃতিতে জানান, “ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগের সব দিক যাচাই করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

শিশু-কিশোরদের মধ্যে ধর্মীয় সংঘাত ও সহিংসতার প্রবণতা বাড়ার বিষয়টিও সমাজে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। শিশুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির দাবি উঠেছে।
বর্তমানে পুলিশ ঘটনাস্থল ও আশেপাশের এলাকায় গোয়েন্দা তৎপরতা চালাচ্ছে। ভিডিও ফুটেজ বা প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য সংগ্রহের পাশাপাশি আহত কিশোরের পরিবারের সাথেও কথা বলেছে কর্তৃপক্ষ। তদন্তের অগ্রগতি ও নতুন তথ্য সামনে এলে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।