সুরজিৎ দাস, নদীয়া:ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরে চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ নিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার মাজদিয়া এলাকার ষষ্ঠী তলা পাড়ার ডাক্তারি পড়তে যাওয়া ছাত্র অরিন্দম বিশ্বাস। সংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানায়,
“নদীয়া পরিবারকে দেখতে পাবো সেই আসাটাও ছে ড়ে দিয়েছিলাম, মৃত্যু সবসময় কাছ থেকে হাতছানি দিচ্ছিল”
জানা গিয়েছে, অরিন্দমের বাবা জন মজুরের কাজ করে কোন রকমে সংসার চালায়। বাবা সেনা বিভাগের কর্মী ছিলেন এখন অবসর প্রাপ্ত। বিভিন্ন দিক থেকে টাকা জোগাড় করে বছর 4 আগে ছেলেকে ডাক্তারি পড়তে পাঠান।তার মধ্যেই ছন্দপতন। ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধ কেড়ে নিল সব স্বপ্ন। চিকিৎসকের স্বপ্ন তো দূরের কথা প্রাণ হাতে নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়েই শুরু হয়েছিল দুশ্চিন্তা। কোনরকমে জীবন হাতে নিয়ে বাড়ি ফেরে অরিন্দম। চোখেমুখে এখনো আতঙ্কের ছাপ। কানে এখনো শুনতে পাচ্ছে মিসাইল নিক্ষেপের শব্দ। অরিন্দমের কথায়, “পরিবারকে আর দেখতে পাবো কিনা তা নিয়ে সংশয় ছিল। তার কারণ আমরা ইউক্রেনে থেকে বর্ডার সীমান্তে আসছিলাম হঠাৎ হঠাৎ গোলা বারুদের আওয়াজে কেঁপে উঠছিল সব। বিমানবন্দরে আসার পর দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে তবে তিনি দিল্লি পৌঁছতে পারি”।
চতুর্থ বর্ষের চিকিৎসক পড়ুয়া অরিন্দম বিশ্বাসের আবেদন, “যে সমস্ত ভারতীয়রা ইউক্রেনের আটকে আছে তাদের অতিদ্রুত বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করুক কেন্দ্র সরকার”।