
দুঃখজনক হলেও দাঙ্গায় অভিযুক্তদের তালিকায় ১০ কিশোর নাম জড়ালো
মহারাষ্ট্রের নাগপুরে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হিংসাত্মক দাঙ্গার ঘটনায়। শুক্রবার আরও ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল ১০৫। এদের মধ্যে ১০ জন নাবালক, যা শহরটিতে চলমান অস্থিরতার ভয়াবহতা নির্দেশ করছে। এ ঘটনায় নতুন করে তিনটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে।
গত ১৭ মার্চ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) এক বিক্ষোভের সময় কুরআনের একটি আয়াত লিখিত কাগজ পোড়ানোর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। ছত্রপতি শম্ভাজিনগর জেলায় ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবিতে চলা এই বিক্ষোভ পরবর্তীতে পাথর নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে সহিংস রূপ নেয়।

নাগপুরের পুলিশ কমিশনার রবিন্দ্র কুমার সিংহাল নিশ্চিত করেছেন, “অশান্তির জেরে শহরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। নতুন তিনটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।” তিনি জানান, কিছু এলাকায় কারফিউ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে তবে তা উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর নির্ধারিত হবে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ ২০২৫) দুপুর ২টা থেকে নন্দনবন ও কপিল নগর থানা এলাকায় জনসুবিধা ও শান্তি-শৃঙ্খলার কথা বিবেচনা করে আংশিকভাবে কারফিউ প্রত্যাহার করা হয়। এছাড়া লাকাডগঞ্জ, পাচপলি, শান্তিনগর, সকরদারা ও ইমামবাদা এলাকায় দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টার জন্য জরুরি পণ্য কিনতে নাগরিকদের ছাড় দেওয়া হয়।
নাগপুরের এই হিংসাত্মক দাঙ্গায় ৩৩ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজন ডিসিপি পদমর্যাদার অফিসারও রয়েছেন।
দাঙ্গার প্রধান অভিযুক্ত ফাহিম খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এর আগে, সহিংসতার সঙ্গে জড়িত ১৭ জনকে শনিবার (২২ মার্চ) পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে নাগপুরের স্থানীয় আদালত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জোরালো প্রমাণ ও অপরাধের গুরুত্ত্ব বিবেচনা করে এই রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
পুলিশ ভবনে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে কমিশনার সিংহাল বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শহরে শান্তি-শৃঙ্খলা পুনঃস্থাপনে কঠোর নজরদারি চালানো হচ্ছে।