এনবিটিভি ডেস্ক: ভারতের জায়গা দখল করে নিল নেপাল! ভারতের তীব্র বিরোধিতা সত্বেও নেপালের নতুন মানচিত্রে ভারত নেপাল সীমান্তের লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখ-কে নেপালের অংশ বলে মানচিত্রে দখল করল নেপাল। আজ নেপালের সংসদে আনা হয়েছে সংবিধান সংশোধনী বিল। বিলটি পাস হয়ে গেলে লিপুলেখ, কালাপানি ও লিম্পিয়াধুরার মতো এলাকা নেপালের মানচিত্রে সাংবিধানসম্মতভাবে ঢুকে যাবে।
লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখ নিয়ে ভারত-নেপাল বিবাদ দীর্ঘদিনের। ভারতের দাবি, এই তিনটিই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এবং উত্তরাখণ্ড রাজ্যের পিথোরাগড় জেলার অন্তর্ভূক্ত। উল্টোদিকে নেপালও তাদের অংশ বলে দাবি করে আসছে। কিন্তু সেই বিবাদ চরমে ওঠে সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের গাটিয়াবর্গ থেকে লিপুলেখ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার রাস্তার আনুষ্ঠানিক সূচনা করার পর। নেপাল দাবি করে, এই রাস্তার অংশ নেপালের ভূখণ্ডের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। ভারত অবশ্য সেই দাবি উড়িয়ে দেয়।
ওই রাস্তা খুলে যাওয়ার কয়েক দিন পরেই নেপালের ভূমি মন্ত্রক দেশের সংশোধিত নতুন ম্যাপ প্রকাশ করে। ম্যাপ প্রকাশের পরেই তীব্র বিরোধিতা করে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক জানিয়ে দেয়, ‘‘এই একপাক্ষিক কার্যক্রম ঐতিহাসিক ঘটনা ও প্রমাণসাপেক্ষ নয়। কৃত্রিম ভাবে দেশের সীমান্ত এ ভাবে বাড়িয়ে দেওয়াকে ভারত কোনও ভাবেই মেনে নেবে না।
এনিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বিবৃতি দেন, বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। এভাবে নেপালের সীমানা বাড়ানো মেনে নেবে না ভারত। এব্যাপারে ভারতের অবস্থান কী তা ভালোভাবেই জানে নেপাল সরকার। তাই ওই অনৈতিক কাজ থেকে নোপালকে সরে আসার অনুরোধ করছে ভারত।
কূটনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, এর পিছনে রয়েছে চিনের সমর্থন। ভারতের তরফেও সেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। আবার ভারত-নেপাল বিদেশসচিব পর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে তা স্থগিত রয়েছে। কোভিডের প্রকোপ কমলে সেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক যখন হবে, তখন এ নিয়ে দু’দেশের সঙ্ঘাত চরমে উঠতে পারে বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
যদিও, নেপালের বিল পাশ হয়ে যাওয়া এখন কার্যত সময়ের অপেক্ষা। আর সেটা হলে অবধারিতভাবেই নয়াদিল্লি-কাঠামান্ডু সঙ্ঘাত আরও তীব্র হবে বলেই মনে করছেন কূটনৈতিকদের একাংশ।