
বিগত কয়েকদিন ধরে, বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে মিলছে না জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক। কুকুরের কামড়ের ক্ষতস্থান নিয়ে বহু মানুষ হাসপাতালে আসছেন। হাসপাতালের বাইরে নোটিশ বোর্ডে জারি হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। জলাতঙ্কের কোন প্রতিষেধক হাসপাতালে মজুত নেই, তা স্পষ্টত জানানো হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

হাসপাতালে প্রতিষেধকের অভাব থাকলেও, বাইরের ওষুধের দোকানে দিব্যি মিলছে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক, অ্যান্টি র্যাবিশ। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্র মারফত জানা গেছে, জানুয়ারির প্রথম থেকেই অভাব দেখা দিয়েছে এই নির্দিষ্ট প্রতিষেধকের। ‘অ্যান্টি র্যাবিশ’ বাজারে উপলব্ধ হতে আরো বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে। উৎপাদন সংক্রান্ত সমস্যার কারণে বাজারে মিলছে না জলাতঙ্ক রোগের টিকা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে উৎপাদনের ঘাটতি থাকলে, ওষুধের দোকানে ‘অ্যান্টি র্যাবিশ’ পাওয়া যাচ্ছে কিভাবে? এই প্রসঙ্গে উত্তর দিতে ব্যর্থ স্বাস্থ্য দপ্তর। তারা এই প্রসঙ্গটিকে সম্পূর্ণ এড়িয়ে গেছে।
অপরদিকে বাইরের দোকানে চারটি ইঞ্জেকশনের দাম ৬৪০ টাকা। দরিদ্র মানুষদের, এই টাকা ব্যয় করাটাও কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে।