এনবিটিভি ডেস্কঃ উত্সবের সময় মন্দিরের চারপাশে মুসলমানদের স্টল বসানোর বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলির বিরোধিতার পরিপ্রেক্ষিতে অ-হিন্দুরা মন্দিরের আশেপাশে ব্যবসা করতে পারবে না নির্দেশ দিল কর্ণাটক সরকার।
একটি প্রতিবেদন অনুসারে কর্ণাটক সরকার বুধবার একটি বিবৃতি জারি করেছেন যে অ-হিন্দুদের হিন্দু মন্দির এবং এর আশেপাশে ব্যবসা করার অনুমতি দেওয়া যাবে না।
রিলিজিয়াস ইনস্টিটিউশনস অ্যান্ড চ্যারিটেবল এন্ডোমেন্টস অ্যাক্ট ২০০২-এর উদ্ধৃতি দিয়ে সরকার একটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় অহিন্দুদের মন্দিরের আশেপাশে ব্যবসা করার উপর নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে বিধানসভাতে উপস্থাপন করে।
বিধানসভা জিরো আওয়ারে প্রশ্নটি উত্থাপন করেছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক ইউটি খাদের এবং রিজওয়ান আরশেদ। হিন্দুদের মেলা পার্বণের সময় কোন অ-হিন্দুরা দোকান বসাতে পারবেনা, এমন ব্যানার লাগাতে দেখা যায়। এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিত রাজ্যের আইনমন্ত্রী সতর্ককারীদের পদক্ষেপকে সমর্থন করে বলেছেন যে, হিন্দুত্ববাদীদের এই বিরোধিতা আইন লঙ্ঘন করে না।
আইন মন্ত্রী মধুস্বামী বলেন, “আইনের অধীনে ১২ নম্বর বিধি অনুসারে অ-হিন্দুদের মন্দিরের প্রাঙ্গনে এবং এর আশেপাশে ব্যবসা করতে নিষেধ করা হয়েছে। যদি এটি হিন্দু ধর্মীয় এলাকার বাইরে হয় তবে যারা এই ব্যানার এবং পোস্টারগুলি লাগাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
কংগ্রেস অবশ্য অভিযোগ করেছে, রাস্তার ধারে সৎ ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে অনেক ব্যানার লাগানো হয়েছে। এ ধরনের পোস্টার ও ব্যানার আমাদের সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করছে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছে। আমরা এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।”
উল্লেখ্য, গত ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট থেকে নির্দেশ ছিল যে, “অ-হিন্দুদের মন্দির প্রাঙ্গনে বাণিজ্যিক কার্যকলাপ চালানোর অধিকার অস্বীকার করতে পারে না কারণ তারা হিন্দু নয়।
তবে কর্ণাটক কংগ্রেসের অভিযোগ, রাজ্যে মুসলিমদের অর্থনৈতিক দিকটি পঙ্গু করার জন্য এই সিদ্ধান্ত। দেশের প্রত্যাক মানুষের ব্যাবসা করার স্বাধীনতা আছে সেখানে হিন্দুত্ববাদীরা বাধা দেওয়ার কেউ হতে পারেনা। হিন্দুত্ববাদীদের আবদারে যদি দেশের আনুন কানুন পরিবর্তন করা হয় তা দেশের জন্য মঙ্গল জনক হবেনা।