ওমিক্রনে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশের দুয়ার

 

দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ শনাক্ত হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে ১৭টি দেশে এই ধরন পৌঁছে যাওয়ায় বাংলাদেশসহ অনেক দেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং বিমান চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন দেশ বন্ধ করে দিচ্ছে তাদের দরজা।

 

টিকাদানের ফলে বিশ্ব বাজারে প্রায় দুই বছরের স্থবিরতা কাটতে শুরু করেছিল, কিন্তু নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে আবারও থমকে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা এখনো নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিশদ জানার অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন। জাপান গতকাল বলেছে, তারা বিদেশিদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করছে। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এ দেশটি করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া ইসরাইলের পথে হেঁটেছে। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার দুয়ার পুনরায় খুলে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সউদী আরব ৭ দেশের ওপর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই আগামী ৪ ডিসেম্বর থেকে বিশ্বের সকল দেশের জন্য দেশের বিমানবন্দরগুলো উন্মুক্ত করার ঘোষণা দেবার মাত্র দু’দিন পর ফের ১৮ দেশের ওপর ওমরাহ পালনে আগমনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

 

আরব আমিরাতও দক্ষিণ আফ্রিকার ৭ দেশ থেকে ফ্লাইট স্থগিত ঘোষণা করেছে। মডার্না জানিয়েছে, তারা আগামী বছরের শুরুর দিকেই করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রমের টিকা বানাতে সমর্থ হবে। এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা নতুন ভ্যারিয়েন্ট আবিষ্কার করে ধন্যবাদের পরিবর্তে শাস্তি পাচ্ছে বলে অনুযোগ করেছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আগের সব ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় সম্ভাব্য অতি-সংক্রামক ‘ওমিক্রন’ গত বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর থেকে আরো যে ১৬টি দেশে ওমিক্রন ছড়িয়েছে সেগুলো হচ্ছে, ইসরাইল, হংকং, বতসোয়ানা, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, পর্তুগাল এবং নেদারল্যান্ড।

 

ওমিক্রনকে ‘উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, ‘এই ভ্যারিয়েন্টের তীব্রতার মাত্রা বোঝার জন্য কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত লাগতে পারে।’

সূত্র : ডেইলি ইনকিলাব

Latest articles

Related articles