রাম মন্দির তহবিলে জমা চেকের মধ্যে ২২ কোটি টাকার চেক বাউন্স করল, জোর করে চাঁদা নেওয়ার ফল?

নিউজ ডেস্ক : বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে সেখানে বিতর্কিত রাম মন্দির তৈরীর জন্য চাঁদা সংগ্রহ শুরু করে বহু হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। সারাদেশের প্রায় সমস্ত সরকারি কর্মীদের থেকে চাপ দিয়ে সংগ্রহ করা হয় চাঁদা, রাজনৈতিক নেতা নেত্রী থেকে সাধারণ মানুষ বাদ যায়নি কেউ। যারা স্বেচ্ছায় দেয়নি জবরদস্তি তাদের থেকে আদায় করা হয়েছে চাঁদা। বহু মুসলিমদেরকে এই চাঁদা সংগ্রহের নাম করে বের করা মিছিলে মারধর পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত সংগৃহীত চাঁদার প্রায় ২২ কোটি টাকার চেক বাউন্স করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে সরকারি সূত্রে। এক্ষেত্রে চেকের সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। যদিও বেসরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে বাউন্স হওয়া চেকের সংখ্যা এর থেকে অনেক বেশি।

 

কেন্দ্রীয় সরকারের ‘শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র’ ট্রাস্টের অডিট রিপোর্টেই সামনে এসেছে এই চমকপ্রদ তথ্য। সংশ্লিষ্ট কর্মীরা জানিয়েছেন, অপর্যাপ্ত ব্যালেন্স ছাড়াও চেকে ওভাররাইটিং কিংবা সই না মেলার কারণেও বহু চেক বাউন্স করেছে।

 

ট্রাস্টের অন্যতম সদস্য ড. অনিল মিশ্র জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলির সঙ্গে এব্যাপারে কাজ করছেন তাঁদের ট্রাস্টের সদস্যরা। যাঁদের চেক বাউন্স করেছে, তাঁদের কাছে সেই চেকগুলি ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। প্রত্যেককেই ওই চেকের পরিবর্তে নতুন চেক দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষ স্বামী গোবিন্দদেব গিরি জানিয়েছেন, বাউন্স হওয়া চেকের মধ্যে ২ হাজার চেক অযোধ্যা থেকেই এসেছে। বাকি ১৩ হাজারের বেশি চেক জমা পড়েছে সারা দেশ থেকে।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও অন্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি গত ১৫ জানুয়ারিতে শুরু হয়েছিল ওই অনুদান। যা চলেছিল ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারি হিসেবে অনুদানের অঙ্ক যা বলা হচ্ছে, বেসরকারি সূত্রের মত তার থেকে অনেকটাই বেশি। সব মিলিয়ে আড়াই হাজার কোটি টাকার মতো অনুদান জমা পড়েছে বলে দাবি সেই সূত্রের।

Latest articles

Related articles