যৌনতা ইতিহাসের বিষয়ে নতুন অধ্যাপক পদ ঘোষণা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের

এনবিটিভি ডেস্কঃ  অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি জোনাথন কুপার ওবিই-এর স্মরণে যৌনতার ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যাপকের পদ ঘোষণা করল।  তিনি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে হঠাৎ মারা যান। যৌনতা বিষয়ে অনেক গবেষণা হলেও এবার এই পদের জন্য অধ্যাপক ঘোষণা করল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।  

যৌনতার ইতিহাসের অধ্যাপক অক্সফোর্ডে LGBTQ+ ইতিহাসের অধ্যয়ন এবং শিক্ষার প্রসার ঘটাবেন বলে মনে করছেন। এদিকে LGBTQ+ ইতিহাসের যেকোনো ক্ষেত্রের পণ্ডিতদের জন্য উন্মুক্ত এই প্রত্যাশাটি পূরণ হবে ২০২৩ সালের মধ্যে বলেও মনে করছেন।

সামগ্রিকভাবে “এলজিবিটি” বলতে বোঝায় “লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল ও ট্রান্সজেন্ডার” অর্থাৎ, নারী ও পুরুষ সমকামী, উভকামী ও রূপান্তরকামী। ১৯৮০-এর দশকের মধ্য থেকে শেষ ভাগের মধ্যে “গে কমিউনিটি”-র পরিবর্তে “এলজিবি” আদ্যক্ষরটির ব্যবহার চালু হয়। এরপর ১৯৯০-এর দশকে “এলজিবিটি” আদ্যক্ষরটি গৃহীত হয়।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ম্যানসফিল্ড কলেজের সহযোগিতায় এই কাজটি করতে চলেছে। LGBTQ+ অধিকার লঙ্ঘনকে চ্যালেঞ্জ করার জোনাথনের উত্তরাধিকার সেই অধিকারগুলির ইতিহাসে গবেষণা সম্প্রসারণের মাধ্যমে বেঁচে থাকবে বলে মনে করেন গবেষক মহল।  

মানুষের মর্যাদার আদিমতা নিয়ে জোনাথন কুপার অনেক গবেষণা করেছেন। এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ যেভাবে মর্যাদাহানির শিকার হচ্ছে সেটা নিয়ে অনেক গবেষণা করছে বলে সূত্রে জানা যায়।

LGBTQ+ অধিকার রক্ষায় এবং চ্যালেঞ্জিং উপলব্ধির ক্ষেত্রে জোনাথন কুপারের কাজ ছিল যুগান্তকারী। বিখ্যাত ব্যাক্তিত্ব টিম অট্টি কিউসি-এর সহযোগিতায় অনেক কাজ করেছেন কুপার। কুপার ছিলেন হিউম্যান ডিগনিটি ট্রাস্টের পিছনে একটি চালিকা শক্তি।  তিনি কমনওয়েলথ জুড়ে LGBTQ+ মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে এমন আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছেন অনেক বার।

জোনাথন কুপার বিশ্বাস করেন, “আপনি পৃথিবীর যেখানেই থাকুন না কেন, আপনার সমান মানবিক মর্যাদা রয়েছে। আপনি কাজাখিস্তান বা কেনসিংটনে থাকুন না কেন, এটা কোন ব্যাপার না।”

Latest articles

Related articles