চুরি হওয়া শিশু উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ক্যানিং হাসপাতাল চত্বরে

হাসিবুর রহমান, ক্যানিংঃ সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ চুরি হয়ে যাওয়া ৯ দিনের শিশু কন্যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায় সুন্দরবন অঞ্চলের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। ঘটনাসূত্রে জানা যায়, ক্যানিং আমড়াবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা গৃহবধূ আকিবা মোড়ল তার ৯ দিনের  শিশু কন্যাকে নিয়ে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে আসে জন্ম সার্টিফিকেট তুলতে। গৃহবধূ শিশু কন্যাকে তার দিদিমা মদিনা সেখের কাছে রেখে কাগজপত্র জমা দিতে যায় হাসপাতালের অফিসে। কিছুক্ষনের মধ্যে এক অপরিচিত মহিলা মোদিনা সেখের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেয়। তারপর ওই মহিলা মোদিনা সেখকে শিশুর ডায়পার আনতে বলে। সে ডায়পার আনতে গেলে সেই সুযোগে ওই অপরিচিত মহিলা শিশু কন্যা নিয়ে চম্পট দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ বাহিনী। পুলিশ হাসপাতালের সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। আর এই সিসি টিভির ফুটেজ ধরে চিরুনি তল্লাশি চালায় পুলিশ। এবং  মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ক্যানিং থানার আইসি আতিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্পেশাল পুলিশ টিম অভিযান চালিয়ে ২৪ ঘটনার মধ্যে উদ্ধার করে শিশু কন্যাকে। পুলিশ শিশু কন্যা কে তার মায়ের কোলে তুলে দিতে কান্নায় ভেঙে পড়ে শিশুটির মা।

এই ঘটনায় পুলিশ ফারুক লস্কর ও তার স্ত্রী সাহানারা লস্কর কে আটক করে। জানা যায়, দুজনের বাড়ি জীবনতলা থানার দক্ষিণ মাকালতলা এলাকায়। এদিকে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে সাহানারা লস্কর সঙ্গে ফারুক লস্করের চার বছর আগে বিয়ে হয়। কিন্তু সাহানারা লস্করের কোন সন্তান না হওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিল এবং আরো জানা যায়, এর আগেও বিয়ে হয়েছিল কিন্তু বাচ্চা জন্ম দিতে সক্ষম না হওয়ায় বিচ্ছেদ হয়ে যায়। দ্বিতীয় বিয়ে করলেও পুর্বের ন্যায় কোনো সন্তান জন্ম দিতে না পারায় পারিবারিক অশান্তি সৃষ্টি হয়। খোটা দিতে থাকে বাড়ির লোকেরা। মূলত এইসব কারণেই কান্ড জ্ঞান হারিয়ে কয়েকদিন ধরেই পেটে কাপড় বেধে হাসপাতালে ক্রমশই ঘোরাঘুরি করতে থাকে এবং সুযোগ বুঝেই এদিন এই নয় দিনের কন্যা শিশুটিকে নিয়ে পলায়ন করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় আসলেই এই মহিলা মূলত সন্তানের আশাতেই এই কাজ করে। এর সাথে কোনরকম পাচার কান্ড দুষ্কৃতীদের কোন সম্পর্ক নেই।

Latest articles

Related articles