পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের প্রোজেক্টের একটি হল স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে এই প্রকল্প নিয়ে অজস্র জলঘোলা হয়েছে, তৈরী হয়েছে বিতর্ক, এসেছে হাজার অভিযোগ। বিভিন্ন সময় রোগী বা রোগীর পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ এসেছে বেড নেই বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বেড যে নেই সে কথা লিখিতভাবে জানানো হচ্ছে না। চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেক রোগীকে। হাসপাতালে সমস্যা জানানোর লোক নেই। তত্ক্ষণাত্ ওই পরিস্থিতিতে কাকে জানালে সমস্যার সমাধান হবে? রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে এমন একাধিক প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন অক্ষয় কুমার সারেঙ্গি। মামলাকারীর আইনজীবী শ্রীকান্ত দত্ত প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চকে জানান, হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথীর হেল্প ডেস্ক আছে, কিন্তু নিয়ন্ত্রণ হাসপাতালের হাতেই। ফলে এই প্রকল্পের পরিষেবা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকছে। তা ছাড়া কারও কোনও অভিযোগ থাকলে তা সরকারের কাছে পৌঁছবে কী করে? সরকার যে হেল্পলাইন নম্বর দিয়েছে সেখানে অনেক সময় যোগাযোগই করা যায় না বলেও অভিযোগ তাঁর। মামলাকারীর আবেদন, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতাভুক্ত হাসপাতালগুলির হেল্প ডেস্কে সরকারি লোক রাখা হোক। প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া না হলে সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ নেওয়া হোক। অভিযোগ ফেলে না রেখে দ্রুত নিষ্পত্তি করুক স্বাস্থ্য কমিশন। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ আগামী সপ্তাহে এই মামলা শুনবে।