পোলিং অফিসারের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান, ভোট প্রক্রিয়ার প্রকৃত স্বচ্ছতা নিয়ে আবার উঠছে প্রশ্ন

নিউজ ডেস্ক : দেশের যেখানেই সাম্প্রদায়িক শিবির তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায় সেখানে তাদের মূল হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয় জয় শ্রীরাম। কখনো কোনো ধর্ষিতাকে বাঁচাতে, কখনো কোনো নির্দোষ মুসলিম বা দলিতকে মারধর বা হত্যা সব ক্ষেত্রেই একই স্লোগান। কিন্তু মেরুকরণের প্রধান অস্ত্র এই স্লোগান এতদিন সাম্প্রদায়িক শক্তির মুখে শোনা গেলেও এখন শোনা যাচ্ছে বঙ্গে ভোট প্রক্রিয়ায় নিযুক্ত আধিকারিকদের মুখে। আগে থেকেই এবারের ভোট প্রক্রিয়ায় যুক্ত নির্বাচন কমিশনের নিযুক্ত বহু আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপিকে সাহায্য করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এই নতুন ঘটনা সব কিছুকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। পোলিং অফিসার নিজেই দিচ্ছেন বিজেপির স্লোগান। স্বাভাবিক ভাবেই এই নির্বাচনের স্বচ্ছতার বিষয়ে উঠছে বহু প্রশ্ন।

আজ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফা। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে চলছে ভোটগ্রহণ পর্ব। এর মাঝে ভোট শুরুর আগেই বিপত্তি পূর্বস্থলীতে। ভোট শুরুর আগে মক পোলিং চলছিল পূর্বস্থলী ১ নম্বর দোল গোবিন্দপুর জিএসপিএ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৫ নম্বর বুথে। মক পোলের সময় হঠাৎই নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা থার্ড পোলিং অফিসার ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেন বলে অভিযোগ। এর পরই চাঞ্চল্য ছড়ায়। জানা গিয়েছে, থার্ড পোলিং অফিসার সৌম্যজিৎ ভট্টাচার্য মকপোল শেষে বলেন, “জয় শ্রীরাম সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছে।” এ কথা বলার পরই তৃণমূলের বুথ এজেন্ট আপত্তি জানান। সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্ত ওই থার্ড পোলিং অফিসারকে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা।

 

ঘটনার খবর পেয়ে ওই বুথ পরিদর্শনে যান বিদায়ী মন্ত্রী তথা পূর্বস্থলী দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী স্বপন দেবনাথ। স্বপনবাবু বলেন, “যদি ওর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে আমি সমস্ত বুথে গিয়ে জয় বাংলা বলব।” পালটা বিজেপি প্রার্থী রাজীবকুমার ভৌমিক বলেন, “জয় শ্রীরাম বলা তো কোনও অপরাধ নয়। এটা কোনও রাজনৈতিক স্লোগান নয়। এতে ভোট প্রক্রিয়া প্রভাবিত হওয়ার কথা নয়।” স্বপন দেবনাথের প্রতিক্রিয়ায় প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থীর মন্তব্য, “জয় বাংলা স্লোগান তো এ দেশের নয়। বাংলাদেশের স্লোগান। উনি সেই সংস্কৃতি এখানে প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে আমার আপত্তি নেই।” ঘটনা প্রসঙ্গে বুথের প্রিসাইডিং অফিসার সুদীপ্ত সিনহা বলেন, “মক পোলিং চলাকালীন থার্ড পোলিং অফিসার জয় শ্রীরাম বলেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ওঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।”

Latest articles

Related articles