
আশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলি খান মাহমুদাবাদকে তার একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া মন্তব্যের জন্য ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার নেতা যোগেশ জাঠেরি অভিযোগ দায়ের করায় গ্রেফতার করে হরিয়ানা পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি, সশস্ত্র বিদ্রোহ উসকানি এবং ধর্মীয় বিশ্বাসে অবমাননার ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৮ মে মাহমুদাবাদ একটি পোস্টে হিন্দুত্ববাদী কিছু বক্তার বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি বলেন, “যেভাবে কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে প্রশংসা করা হচ্ছে, সেভাবে গরু রক্ষা, বুলডোজার অভিযান ও সংখ্যালঘু মানুষদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করা উচিৎ।”
এই মন্তব্যের জেরে হরিয়ানা রাজ্য মহিলা কমিশন দাবি করে, মাহমুদাবাদের বক্তব্য মহিলা সেনা কর্মকর্তাদের অসম্মান করেছে এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টি করেছে।
তবে পাল্টা মাহমুদাবাদ জানান, তার বক্তব্যকে ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং তিনি কোথাও নারী বা সেনার বিরুদ্ধে কিছু বলেননি।
এই ঘটনার পর বহু শিক্ষাবিদ, রাজনীতিক ও সমাজকর্মীরা প্রতিবাদে সরব হন। এক চিঠির মাধ্যমে ১২০০-র বেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিরা মাহমুদাবাদের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, এই অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ইচ্ছা করে তার সম্মানহানি করতেই এবং তাদের দাবি, অবিলম্বে অভিযোগ প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়া উচিত।