নিউজ ডেস্ক : পুদুচেরীতে নির্বাচন হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, কেরালা, তামিলনাড়ুর বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে। এই চার রাজ্যে ফল ঘোষণার পর সরকার কার্যভার গ্রহণ করেছে বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে। কিন্তু পুদূচেরিতে প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এর কারণে এখনও মন্ত্রিসভা গঠন করতে পারেনি বিজেপি এবং অল ইন্ডিয়া এনআর কংগ্রেস জোট।
জোটের মধ্যে অভাব ঐক্যমত্যের। তাছাড়াও সমস্যা অন্য দল থেকে ভাঙিয়ে আনা নেতাদের নিয়ে। গেরুয়া শিবির নিজের মন্ত্রীদের নিয়েই সমস্যায় পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন তো দূর, কোনও বিষয়ে ঐক্যমতেও আসতে পারছে না তারা।
কামারাজ নগর থেকে আসা বিধায়ককে মন্ত্রিসভায় রাখার দাবিতে দলের পতাকা ও পোস্টার পুড়িয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক এ জন কুমার। এরপর ১৯ জুন তাঁকে দলীয় প্রধান কার্যালয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলে খবর। উল্লেখ্য, চলতি বছরেই কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেন এ জন কুমার। গত ২ মে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর এআইএনআরসি-র নেতা এন রঙ্গস্বামী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন ৭ মে। তবে এখনও পর্যন্ত মন্ত্রিসভা গঠন করতে না পারলেও এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চায় বা মুখ্যমন্ত্রী। প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মুখে তিনি বিষয়টিতে ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করেছেন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
পুদুচেরির এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, মুখে বললেও এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যে মন্ত্রিসভা গঠনের ব্যাপারে তিনি নিজের পরিকল্পনা নিয়ে বিজেপিকে মানিয়ে নিতে পারবেন বলে অতটাও আত্মবিশ্বাসী নন রঙ্গস্বামী। এদিকে, মন্ত্রী হিসেবে দলের সদস্যদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করা বিজেপির পরিকল্পনা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এই নীতি কতটা কার্যকর হবে তা কেবল সময়ই বলতে পারবে।