নৈরাজ্যের বাংলাদেশে ঠাঁই নেই রবি ঠাকুরের। তিনি যদিও বলেছিলেন, আমার চোখে তো সকলই শোভন, সকলই নবীন, সকলই বিমল….। ক্ষমার অযোগ্য অপরাধেও, সামনের মানুষকে ক্ষমা করে দেওয়ার স্পর্ধা ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। সেজন্যই তিনি আজও বিশ্ব কবি।
ভাঙচুর চালানো হলো বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জের কাছারিবাড়িতে অবস্থিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈত্রিক ভিটেতে। অশান্তির পর বাংলাদেশের প্রশাসনের তরফ থেকে বাড়িটিতে সাধারণ মানুষের অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত প্রবেশ আধিকার নিষেধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে মঙ্গলবার দুপুরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈত্রিক ভিটের বাইরে গাড়ি পার্কিং সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে ঝামেলা হয় এক পর্যটকের সঙ্গে সংরক্ষনালয়ের কর্মীর। সেখান থেকেই অশান্তি ছড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ঝামেলা হয় পার্কিং ফী নিয়ে। এরপর পর্যটককে সংরক্ষনালয়ের অফিসে আটকে রাখা। শুধু তাই নয়, করা হয় শারীরিক নিগ্রহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা মানববন্ধন করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। এরপর একদল বিক্ষুব্ধ জনতা ঢুকে পড়ে সংরক্ষণালয়ে, শুরু হয় অবাধ ভাঙচুর। জানা যাচ্ছে, বেশ কিছু অতি মূল্যবান জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এই ঘটনার পর আর্কিওলজি বিভাগের ৩ সদস্যের তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আপাতত দর্শকদের জন্য বন্ধ থাকবে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত কাছারিবাড়ি।