বিশেষ প্রতিবেদন : দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন আজ ২৪ তম দিন উপনীত হলো। ক্রমশ বেড়ে চলেছে এই আন্দোলনের তীব্রতা এবং পরিধি। কৃষকদের স্বার্থ বিরোধী কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লি হরিয়ানা সীমান্তে কৃষকদের অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন রাজ্যের কৃষক। সেই খবর দেশের তথা বিশ্বের অন্যান্য অংশের মতো পৌঁছয় বিহারের সিওয়ান জেলার বাসিন্দা সত্যদেব মাঝির কাছে। তারপর শুরু হয় নিজের সমপেশার লক্ষ মানুষের এই আন্দোলনে সামিল হওয়ার পন্থা নির্ণয়ের প্রচেষ্টা। কিন্তু প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের গরীব কৃষক সত্তদেবের পক্ষে দিল্লিতে যাওয়ার খরচ জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব। তাই নিজের সাইকেলেই শুরু হয় অসম্ভবকে সম্ভব করার এই যাত্রা।
হাজার কিমি পথ পাড়ি দিয়ে তিনি শেষমেষ পৌঁছালেন তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। ৬০ বছরের এই কৃষক সাইকেল চালিয়েছেন এক টানা ১১ দিন। কৃষক আন্দোলনে যোগ দেওয়ার এই ঘটনা ইতি মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেট জগতে। নেতিজেনরা কুর্নিশ জানাচ্ছেন এই কৃষকের এই মহান প্রচেষ্টাকে। তিনি বলেছেন, তার পক্ষে এটা খুব মুশকিল ছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত আন্দোলনে সশরীরে যোগ দিতে পেরে তিনি গর্বিত বোধ করছেন। এদিকে সুপ্রিম কোর্ট এই বিতর্কিত কৃষি আইন আপাতত বাস্তবায়ন না করতে প্রস্তাব দিয়েছে। মোদি গতকাল সরাসরি কৃষকদের আক্রমণ করেছেন যা ভারতের ইতিহাসে কোনো প্রধানমন্ত্রী কখনো করেনি বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক সংগঠনগুলো। উল্লেখ্য মোদি গতকাল এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক মদদপুষ্ট বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এই নতুন আইনের বয়স এখন ৬ থেকে ৭ মাস। এখন হঠাৎ করে একদল মানুষ নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য মিথ্যার জাল বুনছে। তিনি সরাসরি কংগ্রেসের দিকে নিশানা করে বলেন, যারা অন্দোলন করছেন তারা কখন ক্ষমতায় ছিল তারা কেমন ব্যাবহার করেছেন কৃষকদের সঙ্গে সেটা মনে রাখা উচিত। এমন মন্তব্য এর আগে মোদির মন্ত্রীরা সরাসরি করেছেন যারা এই আন্দোলনকে খালিস্থানিদের আন্দোলন বলেছেন।