নিউজ ডেস্ক : আমেরিকার তাবেদারী করার মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে তৎপর মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু রাজতন্ত্র। যেকোনো কিছু তারা করতে পারে এই মহৎ কারণে। সে ইসলাম বিরোধী ইসরাইলের সাহায্য করা হোক বা কাশ্মিরে সাধারণ মানুষের ওপর অমানবিক অত্যাচারকে সমর্থন করা হোক অথবা নিরীহ প্যালেস্টাইনি আমদের সাহায্যকারী কাতারের উপর অবরোধ আরোপ হোক। যারা এত কিছু করতে পারে তারা মুসলিম বিশ্বের সর্ববৃহৎ ইসলামী আন্দোলন মুসলিম ব্রাদারহুডকে পশ্চিমা প্রভুশক্তির ইশারায় নিষিদ্ধ করবে সেটা প্রত্যাশিত। কিন্তু এবার সব সীমা অতিক্রম করলো আমেরিকার অতি ঘনিষ্ট মুহাম্মদ বিন সালমান। তিনি চান মসজিদের মধ্যে ইমামরা নিজেদের বক্তব্যে এবং খুতবায় মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিন্দা জানাক এবং তাদের বিরুদ্ধে মানুষকে খেপিয়ে তুলুক। সৌদি প্রশাসন চায় ইমামরা মুসলমানদের মনে মিশরের এই দলটির ব্যাপারে ঘৃণার সৃষ্টি করুক। এটা করতে না পারায় মক্কা এবং আল কাসেমে ১০০ এর বেশি ইমামকে বরখাস্ত করলো সৌদি রাজ পরিবার।
উল্লেখ্য ২০১৩ সালে সৌদি সরকারের মদতে মিশরে ইতিহাসের প্রথমবার নির্বাচিত মুরসির নেতৃত্বাধীন মুসলিম ব্রাদারহুড সরকারকে উৎখাত করে তৎকালীন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং বর্তমান সামরিক শাসক আল সিসি। সেই ঘটনার পর আমেরিকার নির্দেশে সৌদি আরব ২০১৪ সালে সন্ত্রাসবাদী দল হিসেবে ঘোষণা করে ইখওয়ানুল মুসলিমিন নামক এই দলটিকে। এবার তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণার প্রচার না করায় বরখাস্ত হতে হলো বহু ইমামকে। কিছু দিন আগে ভারতের বৈষম্যমূলক আইন সি এ এ এর বিপক্ষে আন্দোলনের জন্য বহু ভারতীয় কে দেশে ফেরত পাঠায় সালমান সরকার। মোদি এবং পশ্চিমা শাসকদের একান্ত অনুগত সালমান ইতিমধ্যে গেরুয়া রাজনীতির পথিকৃৎ মোদিকে তাদের দেশের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করেছেন।