নিজস্ব সংবাদদাতা: মাধ্যমিকে নজরকাড়া সাফল্য মালদা জেলার অন্তর্গত রতুয়া ১ ব্লকের বটতলা আদর্শ হাই মাদ্রাসার ছাত্রী তামান্না ইয়াসমিনের। তামান্না ইয়াসমিনের শিক্ষার হাতখড়ি ভাদো মুসলিম গার্লস মিশন। তামান্নার সর্বমোট নাম্বার ৭৬৯ । তামান্নার এই নজরকাড়া সাফল্যের জেরে খুশির জোয়ার নেমে এসেছে রতুয়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, ভাদো গ্রামের পেশায় কক ডাক্তার মনসুর আলম ‘ র মেয়ে তামান্না। স্থানীয় বটতলা আদর্শ হাইমাদ্রাসা থেকে এবছর মাদ্রাসা বোর্ডে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয় সে।আজ রেজাল্ট হতেই দেখা যায় বাজিমাত করেছে তামান্না। মেয়ের রেজাল্ট দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি বাবা মনসুর আলম। তামান্না বলেন,মিশনের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাগণকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি; তাঁরা গাইড না করলে হয়তো আমি এই সাফল্য পেতাম না। আমি ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে আমার বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চাই।
তামান্না ইয়াসমিন এর বাবা মনসুর আলম বলেন, মেয়ের বাবা হিসেবে আমি গর্বিত। সে অপ্রত্যাশিত ফল করেছে। আমি তাকে ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে সমাজসেবী হিসেবে দেখতে চাই। আমি তার সমস্ত শিক্ষক কে আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা জানাচ্ছি। বিশেষত ভাদো গার্লস মুসলিম মিশনের প্রতিষ্ঠাতা জহরুল আলম সাহেব কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা ও প্রয়াসের জন্য।
ভাদো গার্লস মিশন এর কর্ণধার জহরুল আলম বলেন, আদর্শ শিক্ষক- শিক্ষিকার প্রচেষ্টার ফল আল্লাহ দিয়েছেন। তামান্না বরাবর মেধাবী ছাত্রী নার্সারী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত নিজ ক্লাসে প্রথম স্থান অধিকার করে এসেছে। সে খুব নম্র ও ভদ্র প্রকৃতির মেয়ে। আমরা আশাবাদী ছিলাম তামান্না ইয়াসমিন মিশনের মুখ উজ্জ্বল করবে। সে যেখানে পড়ুক আমরা তাকে সর্ব ধরনের সহযোগিতা করব। তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আমরা কামনা করি।