রাজনৈতিক মতাদর্শের থেকে তারকাদের ঝকমকানি নাকি এখন বেশি আকৃষ্ট করে মানুষকে। যে কারণে তারকারা এখন রাজনীতিতে যোগ দিতে যতটা উৎসাহী, তাদের প্রচারে ব্যবহার করতে রাজনৈতিক দলগুলোও ততটাই। কিন্তু তাতেও কাজ হয় না অনেক সময়। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামে জে পি নাড্ডার সভায় লোক ডাকার কম চেষ্টা করেননি বিজেপির তারকা প্রার্থী পায়েল সরকার এবং প্রার্থী হওয়ার আশায় থাকা আরেক অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু কাজের কাজ হলো না আদৌ।
সকালেই টুইটারে পায়েল লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে অভিভাবকরা প্রভুর মতো আচরণ করছে। এই বিভ্রান্তি দূর করার সময় এসেছে। ১৬ মার্চ জে পি নাড্ডার সভায় যোগ দিয়ে তৃণমূল সরকারকে বার্তা দিন, এবার সত্যিকারের পরিবর্তন আসছে।’ আবার শ্রাবন্তী লেখেন, ‘তৃণমূল সরকারের বিষাক্ত নীতির কারণেই পশ্চিমবঙ্গে এই অর্থনৈতিক অচলাবস্থা, উন্নয়নের অভাব। বাংলার এই অবনতি ঠেকাতে এবার জে পি নাড্ডার সঙ্গে আওয়াজ তুলুন — এবার সোনার বাংলা।’ লোকজন ডেকে আনতে এত গরমাগরম টুইটের পর লোক কই! সে প্রশ্ন সব জায়গায়। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামে দলের হয়ে প্রচার করেন ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি জেপি নাড্ডা।
কিন্তু শ’য়ে শ’য়ে লোক হবার পরিবর্তে, উল্লেখযোগ্য ভিড় না হওয়ায় চিন্তার ভাঁজ বিজেপি নেতা কর্মীদের কপালে। ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় দফায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর, বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ নিয়ে গতকাল রাজারহাটে ওয়েস্টিন হোটেলে বৈঠক হয়। শুধু জেপি নাড্ডার বৈঠক নয়, শেষ কয়েকদিন ধরে অমিত শাহ, নিতিন গডকড়ির সভাতেও সেভাবে লোক দেখা যায়নি। মুখে জনসমুদ্র বললেও, ব্রিগেডেও এক জনহীন দৃশ্য চোখে পড়ে সকলের।