অভ্যুত্থানের পর ফেসবুক, ট্যুইটার, ইনস্টাগ্রাম বন্ধ মায়ানমারে

মায়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের অবস্থা এখন চরম পর্যায়ে। প্রথমত রাষ্ট্রপ্রধান অং সাং সুকি কে গ্রেফতার, এবং তার পর থেকেই একের পর এক দুষ্কর্মের পসরা সাজিয়ে যাচ্ছেন মায়ানমার -এর সামরিক বাহিনী। প্রথমত সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানানোর প্রাথমিক পথটাই বন্ধ করে দিয়েছিলেন মায়ানমারের সেনা গোষ্ঠী। বন্ধ করে দিয়েছিলেন ফেসবুক। কারণ হিসেবে তারা বলেন,’ দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্যই ফেসবুক তথা প্রাথমিক গণমাধ্যম তারা(সেনা) বন্ধ করে দিয়েছে’।

কিন্তু তার পরেও জনগণকে থামানো যায়নি! ফেসবুক যোগাযোগ খর্ব হলেও বাকি থাকছে ট্যুইটার এবং ইনস্টাগ্রাম। যেখানে সাধারন জনগন জানাতে পারেন তাদের অভিমত, জানাতে পারেন অং সাং সুকি কে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা। যেখানে করতে পারেন একে অন্যের সঙ্গে সাধারণ যোগাযোগ। তাই সেটিকেও বন্ধ করতে হল মায়ানমারের সেনাদের! কারণ তাদের (সেনা গোষ্ঠী) সরল, সুসজ্জিত পথের এটাই একমাত্র কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ।।

যেমন মানসিকতা ঠিক তেমনি কাজ; ফেসবুকের মতোই একে একে বন্ধ করে দেয়া হল মায়ানমারের ইনস্টাগ্রাম ও ট্যুইটার। মায়ানমারে ছড়িয়ে পড়েছে এক অশ্লীল, অবাধ্য স্তব্ধতা। ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার কারণ হিসেবে সেনা সম্প্রদায়ের এক কর্তৃপক্ষ বলেন যে, “ইন্টারনেটের মুক্ত সুবিধা এখন পৃথিবীর জন্য ক্রমবর্ধমান এক হুমকি”।

Latest articles

Related articles