ফ্রান্সের ছয় মসজিদ বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন। একই সঙ্গে বেশকিছু ইসলামী সংস্থা নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে দেশটির জাতীয় দৈনিক লা ফিগেরোর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ইসলামের নামে উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ ছড়ানোর অভিযোগে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন লা ফিগেরোকে জানান, ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে দেশটির কোন এলাকা থেকে ইসলামের নামে উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ ছড়ানো হচ্ছে তা জানতে ফ্রান্সের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ব্যাপক অনুসন্ধান শুরু করেছে। গোয়েন্দা সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সেই থেকে প্রায় ১০ মাসের অনুসন্ধানে ৮৯ টি স্থান ও সংস্থার একটি তালিকা করেন গোয়েন্দারা; সরকারকে দেওয়া প্রতিবেদনে বলেন, তালিকাভূক্ত এসব স্থান ও সংস্থা থেকেই ছাড়ানো হচ্ছে ইসলামি উগ্রপন্থা ও জঙ্গিবাদ।
লা ফিগারোকে দারমানিন বলেন, যে ছয়টি মসজিদকে বন্ধ ঘোষণা করা হবে, সেগুলোর নাম এই তালিকায় রয়েছে। রাজধানী প্যারিসসহ ফ্রান্সের ৫ টি শহরে রয়েছে এই মসজিদগুলো।
ফ্রান্সের ইসলামপন্থী প্রকাশনা সংস্থা নাওয়া এবং দেশটির কৃষ্ণাঙ্গ অধিকারবাদী অন্যতম সংগঠন এলডিএনএর (ব্ল্যাক আফ্রিকান ডিফেন্স লীগ) নামও তালিকায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন দারমানিন।
নাওয়া প্রকাশনির প্রধান কার্যালয় ফ্রান্সের অ্যারিজ শহরে। এই প্রকাশনার কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্টরা ইহুদিদের নির্মূল করা ও সমকামীদের পাথর ছুড়ে হত্যার পক্ষে প্রচারকাজ চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে, এলডিএনর বিরুদ্ধে অভিযোগ- গত বছর উগ্রপন্থি জঙ্গিরা যখন ফ্রান্সে একের পর এক হত্যা চালাচ্ছিল, সে সময় এই সংগঠনের কর্মীরা গত বছর জুনে প্যারিসে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সামনে ফ্রান্সের সরকারের বিরুদ্ধে ‘ঘৃণা ছড়ানোর’ অভিযোগে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছিল।
লা ফিগেরোকে দারমানিন বলেন, ‘তালিকায় থাকা আরো ৪ সংস্থাকে আগামী নভেম্বরের মধ্যে নিষিদ্ধ করা হবে। আগামী বছরও এই অভিযান চলবে।