ক্যানিং, এনবিটিভি ডেস্ক: কবর খুঁড়ে এক গৃহবধুর মৃতদেহ উদ্ধার কে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জয়নগর ধোষা-চন্দনেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিলপি’র কুলবেড়িয়া গ্রামে।ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে তিলপির লস্করপাড়ার কবরস্থান থেকে বছর আঠাশ বয়সের গৃহবধু মোফিজা লস্করের দেহ টি তুলে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে,গত ৯ বছর আগে ফোনে আলাপ হয় ক্যানিংয়ের ধর্মতলা গ্রামের মোফিজার সাথে জয়নগরের তিলপির কুলবেড়িয়ার সাদ্দাম লস্করের। পরে ধর্মীয় নিয়ম মেনেই বিয়ে হয়। দম্পতির সাড়ে আট বছরের এক পুত্র ও সাড়ে চার মাসের এক কন্যা রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে এলাকার এক মহিলার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে সাদ্দামের এমনটাই জানতে পারেন তার স্ত্রী মোফিজা। এরপর মোফিজার সাথে সাদ্দামের মনোমালিন্য বাড়ে। এরপর আচমকা গত ২৪ জানুয়ারী সাদ্দামের ভাই ইসরাফিল লস্কর ফোন করেন মোফিজার বাপের বাড়ির লোকজনকে জানায় মোফিজা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এরপর পরিবারের লোকজন শোকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
গৃহবধুর ভাই সরিফুল সর্দার জানিয়েছেন, ‘আমার দিদি আত্মহত্যা করেনি। তাকে খুন করে নাটক করছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। দিদির দুই নাবালক নাবালিকা সন্তানদের মুখ চেয়ে আমরা পুলিশ প্রশাসন কে জানাইনি।দিদির ছেলে-মেয়েদের নামে সাদ্দাম তার পাঁচ কাঠা সম্পত্তি লিখে দেওয়ার শর্ত জানায়। আমরা সেই আশায় ছিলাম।সম্পত্তি লিখে দিতে বেশকিছু দিন সময় গড়িমসি করে। পরে ১৬ ফেব্রুয়ারী সম্পত্তি লিখে দেবে বলে জানায়। সেই মতো আমাদের কে জয়নগর থানার অন্তর্গত বারাসাত এলাকায় মৌরির কাছে যেতে বলে সাদ্দাম।আমরা যাচ্ছিলাম। সাদ্দাম তার লোকজন ও বেশকিছু বোম নিয়ে রওনা দিয়েছিল বারাসাতের দিকে। উদ্দেশ্য ছিল আমাদের খুন করার।কপাল ভালো আমরা বরাত জোরে প্রানে বেঁচে গিয়েছি। করাবেগ এলাকায় আচমকা ওদের ব্যাগের মধ্যে রাখা বোম ফাটে। ওরা পালিয়ে যায়। পরে আমরা ওই দিনই জয়নগর থানায় বিচার চেয়ে একটি অভিযোগ জানাই”।
সরিফুল সর্দার আরো অভিযোগ করে বলেন,” আমার দিদিকে ওরা যেভাবে খুন করে ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিল ওদের যেন দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হয় সেই আবেদন জানিয়েছি প্রশাসনের কাছে”।অন্যদিকে অভিযুক্ত জয়নগরের তিলপি গ্রামের সাদ্দাম সহ তার পরিবার পরিজন পলাতক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জয়নগর থানার পুলিশ।