এনবিটিভি ডেস্কঃ করোনা মহামারীর দীর্ঘ কয়েক বছরের সর্বচ্চো আক্রান্ত সংখ্যা পার করল চলতি সপ্তাহে। রবিবার রাজ্যে স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪২৮৭ জন। যেখানে দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় গত ১৪ মে সর্বচ্চো আক্রান্তের সংখ্যা ২০৮৪৬ জন ছিল। অন্যদিকে হিসাব বলছে পশ্চিমবঙ্গে প্রতি ৩ জনে ১ জন ও কলকাতায় প্রতি দু’জনেই একজন করোনা পজিটিভ দেখা দিচ্ছে।
কলকাতা ও শহরতলি এলাকায় করোনার নয়া রুপ ওমিক্রনের প্রভাব ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। রাজ্যে প্রশাসন করোনা বিষয়ে সচেতন করলেও তা দ্বি-মুখি সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে তাদের। একদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগণার একাংশই কড়া বিধি নিষেধ পালন করতে বাদ্ধো করছে প্রশাসন, যদিও গঙ্গা সাগর মেলা নির্বিঘ্নে পালনে তিন কমিটি সামলাবে। লক্ষ মানুষের ভিড়, করোনা বিধি মেনেই চলবে গঙ্গাসাগর মেলা।
অন্যদিকে রবিবার রাজ্যে কয়েক যায়গাতে চলবে পুরসভা ভোট, তাই চলছে পুরকদমে ভোট প্রচার। করোনা বিধি নিষেধের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে করছে ভোট প্রচার। এমনও অভিযোগ উঠছে চন্দননগরে পুর সভার ঘোষিত বিজেপি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। যদিও বিজেপির রাজ্য সম্পাদক বিমান ঘোষের দাবী, করোনা বিধি শুধুমাত্র বিজেপির জন্য ব্যবহার করছে। অন্যদিকে শাসকদলের প্রার্থীদের ছাড় দিচ্ছে রাজ্যে প্রশাসন। এটা কেমন বিধি নিষেধ? যেখানে প্রশাসন একজনকে টার্গেট করছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে করোনার প্রথম ঢেউ পার করে দ্বিতীয় ঢেউ আসতেই প্রশাসন করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখার কড়া নজর দারি রাখা শুরু করে। ঠিক সেই সময় রাজ্যে দুর্গা পুজা পালনে ছাড় দেওয়া হল, তৈরিও হল বুর্জ খলিফার মতো বিশাল ইমারত। লক্ষ মানুষের জমায়েত। দুর্গা পূজা পালনের পরেই হুহু করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে লাগলো। এরই মাঝে কলকাতা পুরসভা ভোটও নির্বিঘ্নে হয়েই গেলো।
অন্যদিকে রাজ্যে শাসক দলের বার্ষিক অনুষ্ঠান গুলোও করোনার প্রকোপে বাধা হয়ে দাঁড়ালোনা। এমন শত দলীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে বিশাল অঙ্কের টাকা খরচ করে ডায়মন্ড হারাবারে দীর্ঘ একমাস ব্যাপী চললো ফুটবল খেলা। নেই কনো প্রকার করোনা বিধির বাধা। অন্যদিকে চললো শহরে ২৫ শে ডিসেম্বর ক্রিসমাস দিবস ও নববর্ষ উদযাপন। কনো প্রকার হেলদোল নাই রাজ্যে প্রশাসনের।
উল্লেখ্য, করোনা বিধির নামে রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর, লক্ষ্মীকান্তপুর, ঢোলাহাট সহ অন্যান্য বাজারে গুলোতে পুলিশের অভিযানে দোকানপাট বন্ধ করতে বাদ্ধ হয়। বন্ধ এলাকার বড় বড় বাজার। এমনকি অনেক সাধারণ মানুষকে থানায় তুলে আনাও হয়।

সাধারণ মানুষের অভিযোগ, করোনা ভাইরাস আটকাতে রাজ্যে সরকার পরাস্থ। সরকারের সুবিধা মতো সমস্ত নিয়ম কানুন তৈরি করছে যেটি সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকায় অনেকাংশ প্রভাব ফেলছে। কখনও লোকডাউন, কখনও বা লোকাল ট্রেন বন্ধ। সরকারের নেওয়া সিধান্ত গুলো কনো প্রকার সাফল্য আনতে পারেনি। সারকারের ব্যার্থতা ঢাকতে সাধারণ মানুষের উপর নানান বাহানার আশ্রয় নিতে হচ্ছে।