এনবিটিভি ডেস্কঃ রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার সম্মিলিত ভাবে গণতন্ত্রকে নিরবে হত্যা করে চলেছে। হরন করা হচ্ছে সাধারণ মানুষের অধিকার। এবার দেশ জুড়ে ২৮-২৯ মার্চে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিল বামফ্রন্ট। বিজেপি ও তৃণমূল সামনের দিকে বিরোধিতা করলেও তাদের একটাই মুলে যুক্ত সেটা হল আরএসএস। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় যেমন কোন সহযোগিতা করেনি আরএসএস। আর এখন দেশকে ধ্বংস করতে মরীয়া সেই আরএসএস, অভিযোগ রাজ্য বামফ্রন্ট নেতাদের।
রবিবার অজয়নগরে বামের নতুন সম্পাদক মোহাম্মাদ সেলিম রাজ্য পুলিশের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘তৃণমূল সরকার পুলিশকে দিয়ে সাধারণ ধর্মঘট ভাঙতে এলে ফল ভালো হবে না।
সারা ভারত জুড়ে কেন এই ধর্মঘট তার ব্যাখ্যা করে এদিন সেলিম বলেন, লকডাউনে মানুষ খেতে পাচ্ছে কিনা দেখা যাদের কর্তব্য ছিল তারা সেটা দেখেনি। সেই প্রশ্ন তুলতেই, মানুষ কী খাচ্ছে- কী পোশাক পরছে সেটা দেখিয়ে ধর্মের নামে ভাগাভাগি করছে। এই হলো বিজেপি।
এদিন তৃণমূল নেতা অভিষেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, “মমতার ভাইপো এবং দলের নেতারা, কয়লা পাচার, বালি পাচার, সোনা পাচার, গোরুপাচারের এত টাকা রাখবে কোথায় ঠিক করে উঠতে পারছেন না।
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার দেশের ব্যাঙ্ক, বিমা রেল রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা সব সম্পদ আম্বানি-আদানিদের হাতে তুলে দিতে চাইছে, আর এরাজ্যের সরকার দেউচা-পাঁচামীর আদিবাসীদের হাত থেকে জমি জঙ্গল পরিবেশ সব কেড়ে আদানিদের হাতে তুলে দিতে চাইছেন। ওরা রেল বেচছে, এরা ট্রামের জমি বেচছে।
সেলিম আরও বলেন, এসবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যই মিটিং মিছিল ধর্মঘট। দিল্লির কৃষক আন্দোলন দেখিয়ে দিয়েছে, এই লড়াইয়ের প্রাথমিক শর্তই হলো একসঙ্গে লড়া। ধর্ম, জাতি, ভাষার নামে ভাগাভাগি চলবে না। আগামী ২৮-২৯ মার্চে সারা দেশ জুড়ে চলবে সাধারণ ধর্মঘট, যেখানে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ছোট ব্যবসায়ী সকলে পা মেলাবেন।
আর এই ধর্মঘটকে পুলিশ ভাঙতে আসলে কড়া পদক্ষেপ নেবেন বলে জানায় বামফ্রন্ট নেতারা।