নিউজ ডেস্ক : গত বছর ৫ ই অগাস্ট তারিখের রাম মন্দিরের পূজা করে বিতর্কিত এই মন্দির নির্মাণ কাজের সূচনা করেছিলেন ধর্ম নিরপেক্ষ ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজেই। তারপর থেকে এই মন্দিরের নির্মাণকার্যে অর্থ সংগ্রহের নাম করে বহু জায়গায় সাম্প্রদায়িক মিছিল বের করে মুসলিম বিরোধী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি সমর্থিত বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। তারই মধ্যে আরএসএস চালিয়ে যাচ্ছে এই মন্দিরের জন্য অর্থ সংগ্রহের নামে চাঁদাবাজি। তবে এবার এই ব্যাপারে এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এলো। কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী বলেছেন, যে সমস্ত ব্যক্তিরা রাম মন্দিরের নির্মাণ কাজে সহায়তা করার জন্য সর্বোচ্চ পরিমাণ আর্থিক সাহায্য দিচ্ছেন না তাদের বাড়িগুলি আলাদাভাবে চিহ্নিত করছে ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএস। যেকোনো সময়ে সেই সমস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যে কোন কিছু ঘটতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন দেশে সাম্প্রদায়িক বাতাবরণকে কাজে লাগিয়ে রাজনীতি করা বিজেপির কারণে বর্তমান ভারতে অঘোষিত জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে।
নিজের ট্যুইটারে কুমারস্বামী লেখেন, “রাম মন্দির নির্মাণের জন্য যাঁরা অর্থ দিয়েছেন এবং যাঁরা দেননি তাঁদের বাড়ি পৃথক পৃথকভাবে চিহ্নিত করে রেখেছেন অনুদান সংগ্রহকারীরা। হিটলারের শাসনকালে জার্মানিতে যখন লক্ষ লক্ষ লোক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন, তখন নাৎসিরা যা করেছিলেন, তার অনুরূপ করা হচ্ছে এখানে।”
ইতিহাস বলে, বিশ্বের সবথেকে ফ্যাসিবাদী সংগঠন জার্মানির হিটলার এর হাতে গড়া নাৎসি দল এবং ভারতে বর্তমান ক্ষমতাসীন বিজেপির মস্তিষ্ক এবং পরিচালক সংগঠন আরএসএস একই সময়ে একই উদ্দেশ্য, আদর্শ এবং নীতিমালা নিয়ে গঠিত হয়েছিল। ভারতে তাই জার্মানির মতো উগ্র জাতীয়তাবাদ এবং সাম্প্রদায়িকতাবাদ ছড়িয়ে দিয়ে বাকস্বাধীনতা হরণ করে দেশে নাৎসিদের মত ফ্যাসিবাদী রাজত্ব কায়েমের দিকে এগিয়ে চলেছে মোদি সরকার, অভিযোগ কুমারের স্বামীর।