নিউজ ডেস্ক : আবার রাজনৈতিক সংঘর্ষের কারণে উত্তপ্ত হলো দক্ষিণ ২৪ পরগনা বাসন্তী থানা এলাকা। দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাসন্তীতে গুলিবিদ্ধ হলেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য অনুপ হালদার। বাসন্তীর আমঝাড়া গ্রামে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। এই ঘটনায় তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে বিজেপি আশ্রিত বহিরাগত দুষ্কৃতিরাই এর পিছনে রয়েছে। তৃণমূলের দাবি, বিজেপির লোকেরাই তাঁদের পঞ্চায়েত সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। দলীয় কর্মসূচী সেরে গভীর রাতে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি এবং তাঁর ভাই। দাদার উপর আক্রমণ হচ্ছে দেখে বাঁচাতে গেলে তাঁর ভাইকেও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। তাঁদের চিৎকার শুনে স্থানীয় গ্রামবাসীরা ছুটে আসে। গ্রামবাসীরাই তাঁদের উদ্ধার করে দ্রুত ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়। সেখানেই আপাতত চিকিৎসাধীন তাঁরা।
হাসপাতালে তাঁদেরকে দেখতে ছুটে আসেন বাসন্তীর তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল মণ্ডল। তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে বিজেপি লড়াই করতে না পেরে হিংসার পথ বেছে নিচ্ছে। ভোটের মুখে স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের শাস্তি চাই। যদিও এই ঘটনায় বিজেপির কেউ কোনওভাবে জড়িত নয় বলেই দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। তৃণমূলের নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনায় ঘটছে এরকম ঘটনা। হেরে যাবে বলেই এখন মিথ্যাচার করছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে দাবি বিজেপির স্থানীয় নেতাদের। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় এলাকায় রয়েছে যথেষ্ট উত্তেজনা। ঘটনাস্থলে রয়েছে বাসন্তী থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। সেখানে পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। গোটা এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ। কড়া হাতে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচন পরিচালনা করাই এখন মূল চ্যালেঞ্জ নির্বাচন কমিশনের কাছে।