ব্যবসায়ীদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে সাধারন জনগন ফুসে উঠেছে

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

SAVE_20201117_200728

 

শরিফুল ইসলাম সৌরভ (শরীফ)!!
ভোলা জেলা প্রতিনিধি ;
ভোলা চরফ্যাশন ব্যবসায়ীদের ডিলিং লাইসেন্স ও মাক্স না

পড়াই অর্থদন্ড দেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার এতে করে ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাজারের বিভিন্ন গলিতে বিক্ষোভ মিছিল করে মিছিল শেষে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করেন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সম্পাদক

তারা উপজেলা নিবার্হী অফিসারের অপসারণ দাবি করে

চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহি অফিসার ইউএনওর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ সাধারন জনগন প্রত্যাখান করেছে।

রুখে দাড়িয়েছে সাধারন জনগন।করোনা কালিন সময়ে রক্তচোষা অসাধু অতিমুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা মনগড়া দ্রব্যেরমুল্য বৃদ্ধি করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সাধারন জনগনও নিম্ম আয়ের মানুষের রক্ত চুষে নিয়েছে।

এসময়ে ইউএনও রুহুল আমিন ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রন করে ব্যবসায়ীদের জিম্মিদশা থেকে সাধারন মানুষকে উদ্ধার করেছেন।

এবিষয়ে মোঃ রাসেল আলম আরো জানান
বিভিন্ন সময়ে সামাজিক কাজ অব্যাহত রাখার স্বার্থে বিভিন্ন বিষয়ে স্যারের সাথে সাংগঠনিক পরামর্শের জন্য গিয়েছি।স্যারের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যখনই আলাপ করেছি,

দেখেছি জনগণের স্বার্থে কাজ করার জন্য এবং অন্যদের এ বিষয়ে উৎসাহ দেওয়ার জন্য স্যারের সে অকৃত্রিম ব্যাকুলতা! স্যারের কী সাংগঠনিক চৌকশ দক্ষতা!

স্যার কোনো একদিন একটা কথা বলেছিলেন,যা আজ চরফ্যাশনের ব্যবসায়ীদের তথাকথিত অন্যায্য প্রতিবাদে খুবই মনে পড়ে যাচ্ছে।

স্যার বলেছিলেন,” ভালো কাজ করতে গেলে সাধারন জনগণ ব্যতীত সবার কাছ থেকে বাহবা আশা করবেন না,করলেও পাবেন না।

এমনকি বাঁধাবিপত্তিও থাকবে।কারন স্বার্থসংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী বরাবরই আপনাদের বিরোধিতা করবে।তবে তাই বলে সামাজিক কাজ করা বন্ধ রাখবেন না।

যতটুকু পারি আমি আপনাদের সহায়তা করবো।” যা আজ প্রতীয়মান।

স্যার সেদিন খুব হাসিমাখা মুখে আরেকটি উদাহরণও দিয়েছিলেন।তখন চরফ্যাশন বাজারের সদর রোডে হকারি দোকানগুলো বিদ্যমান ছিলো।

সেটিকে ক্লু হিসেবে ধরে স্যার বলেছিলেন,”ধরেন,এগুলো যদি আমি উপজেলা প্রশাসন উচ্ছেদে যাই, সবাই কি আমার পক্ষে থাকবে।

নিশ্চয়ই না! বিরোধিতা করবে, অবশ্যই করবে।তবে আমার দেখতে হবে,আমার সম্পাদিত কাজটিতে সুবিধাভোগী এবং অসুবিধাভোগীর হার।

“সেদিনের সে প্লানটি অবশ্য বাস্তবায়ন হয়েছে।বিরোধিতাও অনেকে করেছে।স্যার তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছেন বলেই হয়তো তা সম্ভব হয়েছে।

এহেন স্যারের বিরুদ্ধে আজ ষড়যন্ত্র হচ্ছে।অভিযোগ আনা হচ্ছে,তিনি ব্যবসায়ীদের উপর বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালান।

কাজটি স্যারের পেশাগত একটি নীতিগত কাজ।জনগণের স্বার্থে সকল প্রশাসনেরই যা করা উচিত।কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে,চরফ্যাশনবাসী ভালো লোককে ভালো বলতে পারেনা।

ভালো বলা থাক দূরের কথা,অন্যায্য দাবি নিয়ে রাজপথে নেমে বিরোধিতা পর্যন্ত করেছেন একজন রুহুল আমিন(স্যার) চরফ্যাশনে না থাকলে তাঁর কিছুই হবেনা,তিনি যেখানেই যাবেন সেখানেই তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।

আপনারা হয়তো পারবেন,বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাঁকে অন্যত্র বদলি করাতে;বৈকি?দিনশেষে ক্ষতি আমাদেরই হবে।

কিছু সংখ্যক অসাধু ব্যবসায়ীদের স্বার্থের জন্য বিশাল সংখ্যক জনগণ যাতে জনহিতকর কাজ থেকে বঞ্চিত না হয়,

সেদিক বিবেচনা করে স্যারের বিরুদ্ধে আনীত ভিত্তিহীন অভিযোগ ও ষড়যন্ত্রের নিন্দা জানাই।

স্যারের মতো সৎ, আদর্শবান,ন্যায়বান, কর্মঠ,জনহিতৈষী ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোসহীন একজন প্রশাসক পাওয়া সত্যিই আমাদের চরফ্যাশনবাসীর জন্য খুবই ভাগ্যের ব্যাপার

এ ব্যাপারে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব রুহুল আমিন জানান আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবো

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর