এনবিটিভি: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে যখন নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা করেছে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির এআইএমআইএম, তখন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ওয়েইসিকে ভোট কাটুয়া বহিরাগত দল বলে বারবার আক্রমণ করেছেন। সেই তৃণমূল কংগ্রেস আসামে ১ শতাংশও ভোট না থাকার পরেও বিজেপি বিরোধী মহাজোট বাম কংগ্রেস ও এআইইউডিএফের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় ১৬ টি কেন্দ্রে প্রার্থী দিচ্ছে।
উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বদরুদ্দিন আজমলের কেন্দ্র ধুপগুড়ি সহ ৯ কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়ে বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগের চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। সেখানে নির্বাচনী প্রচারও করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। কিন্তু রাজ্যের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে আসামের প্রত্যেকটি কেন্দ্রে জামানত জব্দ করে দেয়। এরপরও এবারের বিধানসভা নির্বাচনে অসমের মতো রাজ্যে তৃণমূলের প্রার্থী বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ করে বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়ার চেষ্টা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রবিবার গুয়াহাটির লালগণেশে দলের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। অসমে ১২৬টির মধ্যে ১৬ টি কেন্দ্রে একাই লড়ছে তৃণমূল। প্রথম পর্যায়ে নেই কোন প্রার্থী তাদের।
প্রার্থীরা হলো সোনাই-শান্তি কুমার সিংহ, হাইলাকান্দি- শফি কামাল বড় লস্কর, গোলাপগঞ্জ- শহিদুর রহমান, পশ্চিম বিলাসিপারা- আব্দুর রাজ্জাক শেখ, উঃ অভয়াপুরি- আশরাফুল ইসলাম, পূর্ব গোয়ালপাড়া- শেখ মোহাম্মদ জিয়াউল হক, পশ্চিম গোয়ালপাড়া- নিজামুদ্দিন, জলেশ্বর- আবতাবুল জলিল তালুকদার, জনীয়া- আব্দুল জলিল তালুকদার, সরুক্ষেত্রী- সৈয়দ জহিরুল ইসলাম, চেঙা- আব্দুল গনি, বকো- গোপীনাথ দা, নলবাড়ি- গোপী বড়ুয়া, দলগাঁও- মোঃ আবুল কাশেম, যমুনামুখ-রিজওয়ান আহমেদ, লামডিং-টুটু আচার্য আচার্য।