এক অন্য মানবিকতার নজির গড়লেন চিকিৎসক। খিদের জ্বালায় চিৎকার করে কাঁদতে থাকা তিনটি নবজাতককে নিজেই ব্রেস্টফডিং দিয়ে বাঁচালেন স্বয়ং চিকিৎসক। সদ্যোজাত বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে প্রমাণ হলো চিকিৎসকের মহানুভবতা।
বারুইপুরের চম্পাহাটির বাড়িতে আট মাসের বাচ্চা রেখে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের প্রত্যন্ত ব্লক কুলতলিতে চিকিৎসা করেন মহিলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চিত্রালেখা সরদার। দুধের শিশুকে বাড়িতে রেখে সোমবার থেকে টানা ডিউটি চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কখনো কুলতলির জামতলা হাসপাতালে আবার কখনো করোনার ‘সেফ হোমে’। দুধের শিশুকে বাড়িতে রেখে যাওয়ায় ‘বেস্ট ফিডিং’ না করাতে পারার কারণেই কিছু সমস্যা হচ্ছিল নিজের শরীরে ও। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে তিনটি নবজাতক শিশুর জন্ম হয়। আর তাদের মায়েদের থেকে তৎক্ষণাৎ দুধ না পাওয়ায় কাঁদতে শুরু করে সেইসব নবজাতকরা। তাদের কান্নায় আর থেমে থাকতে পারেননি স্বয়ং চিকিৎসক। বুধবার সকালে লেবার রুমে নিয়ে গিয়ে একে একে পরপর তিন শিশুকে দিলেন নিজের বুকের দুধ।এ বিষয়ে টেলিফোনের চিকিৎসক চিত্রালেখা সরদার বলেন, “বাড়িতে আমার ও শিশু আছে। সেও তিনদিন ধরে দুধের জন্য কান্নাকাটি করছে ।হাসপাতালে করোনা পরিস্থিতি এবং শিশু নিয়ে থাকার মত অবস্থা না হওয়ার কারণে তাকে বাড়িতে রেখে এসেছি। শিশু দুধ না পেলে খিদের জন্য যে কষ্ট পায়, কান্নাকাটি করে, সেটা আমি বুঝি। সেই উপলব্ধি থেকেই সদ্য জন্মানো শিশুদেরকে নিজের বুকের দুধ দিয়ে প্রাথমিকভাবে খিদের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করলাম। কারন আগে আমি মা তারপর চিকিৎসক।”