করোনা ভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে যাওয়ার জেরে বিশ্বব্যাপী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। ইউনেস্কোর দেওয়া তথ্যানুসারে, ভারতে করোনার জেরে অজস্র শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। শহরের স্কুলগুলােতে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হলেও ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামগুলাের শিক্ষার্থীরা পড়েছে মহাবিপাকে। কিছু কিছু গ্রামে বিনিময় প্রথায় পাঠদান চলছে। আসামের চন্দ্রপুরে বিনিময় প্রথার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। পড়ানাের বিনিময়ে শিক্ষার্থীরা শাক-সবজি দিচ্ছেন মাস্টার মশাইকে।
ক্লাসে যােগ দেওয়ার আগে শিক্ষার্থীদের হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে দেওয়া হচ্ছে। এরপর শিক্ষকের বাড়ির এক স্থানে সবাই বসছে। তারপর পাঠদান শুরু হচ্ছে।
পড়ার বিনিময়ে বাড়িতে উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের সবজি, গরুর দুধ, ডিম দেওয়া হচ্ছে। সবজির মধ্যে কলার মোচা, ঝিঙ্গা, বরবটি, ডুমুর, পটল, বেগুন দিতে দেখা গেছে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বলছেন, লকডাউনের ফলে অনলাইনে ক্লাস করার সক্ষমতা নেই তাদের ছেলেমেয়েদের। এমনকি অর্থের বিনিময়ে প্রাইভেট পড়ানাের মতােও পরিস্থিতি নেই। সে কারণে শিক্ষকদের কিছুটা সম্মানি হিসেবে বাড়িতে উৎপাদিত সবজি দিচ্ছেন তারা। মূলত পড়ানাের বিনিময়ে দেওয়া হচ্ছে এসব। অন্য আরেক গ্রামে বাড়িতে গিয়ে পড়ানাের বিনিময়ে চাল ও গম দিতে দেখা গেছে। বিবেক নামে একজন অভিভাবক বলেন, আগে মাসে সাড়ে সাতশ রুপিতে পড়াতে চাইতাে শিক্ষক। তবে এখন গমের বিনিময়ে বাড়িতে এসে পড়াচ্ছে। কিন্তু এভাবে তো বেশি দিন পড়া যায় না। অন্যদিকে করোনা জেরে স্কুল বন্ধ থাকায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর গ্রামের সকল পরিবার এভাবে পড়াতেও সক্ষম নয়।