নিউজ ডেস্ক : প্রথম ম্যাচেই নিজের জাত চিনিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে এবার তারকা হওয়ার বার্তা দিলেন। কেকেআরের ভেঙ্কটেশ আইয়ার আপাতত আগামী নিলামে বড়সড় ঝড় তুলতে চলেছেন। সেই বার্তা দিয়েই এবার মধ্যপ্রদেশ তারকার ব্যাটে ঝড়। ভেঙ্কটেশের ঝড় এবং রাহুল ত্রিপাঠির সাইক্লোন- জোড়া ঘূর্ণিঝড়ে উড়ে গেল মুম্বই। আরসিবির পর কেকেআরের কাছে ৮ উইকেটে বধ হল এবার গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
আবু ধাবিতে টস জিতে মুম্বইকে প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান নাইট অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। মুম্বই পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৫৬ রান তুলে ফেলে। সেখান থেকে রোহিতদের ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৫ রানে আটকে রাখার জন্য নিঃসন্দেহে কৃতিত্ব প্রাপ্য কলকাতার বোলারদের।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে কলকাতা আগ্রাসী মেজাজে ইনিংস শুরু করে। তবে গিল খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি। কেরিয়ারের দ্বিতীয় আইপিএল ম্যাচ খেলতে নামা বেঙ্কটেশ আইয়ার ও নির্ভরযোগ্য রাহুল ত্রিপাঠীর জোড়া হাফ-সেঞ্চুরির সুবাদে কেকেআর ২৯ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যায়। ১৫.১ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৯ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে কলকাতা।
গিল ৯ বলে ১৩ রান করে আউট হন। বেঙ্কটেশ ৩০ বলে ৫৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ২৫ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন আইয়ার। রাহুল ত্রিপাঠী ৮টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৪২ বলে ৭৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। মর্গ্যান ৭ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। ৫ রান করে অপরাজিত থাকেন রানা। কলকাতার ৩টি উইকেটই নিয়েছেন বুমরাহ।
কিন্তু পাওয়ার প্লে শেষ হতে না হতেই ইনিংস একেবারে ভেঙে পড়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। শেষের দিকে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন কায়রন পোলার্ড। কিন্তু তিনি রান আউট হয়ে যাওয়ার পরেই যেন মুম্বাইয়ের ইনিংস যেনো তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেল। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে মুম্বাইয়ের সংগ্রহ মাত্র ১৫৫। বিপরীতে ব্যাটিং করতে নেমে কলকাতা প্রথমেই আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে খেলতে শুরু করে। যদিও ওপেনিং ব্যাটসম্যান শুভমান গিল খুব একটা বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারলেন না। কিন্তু তারপরেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং রাহুল ত্রিপাঠী। দুজনের জোড়া হাফ সেঞ্চুরির উপর ভর করেই ২৯ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ পকেটে পুরে নেয় কেকেআর। ১৫.১ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে ফেলে কলকাতা। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হলেন সুনীল নারিন, তার অসাধারণ বোলিংয়ের জন্য। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ১টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন তিনি। এই জয়ের সুবাদে রাজস্থান এবং মুম্বাইকে টপকে লিগ তালিকার চতুর্থ স্থানে উঠে এল কলকাতা নাইট রাইডার্স।