নিউজ ডেস্ক : ভারতের গেরুয়া শিবিরের পোষ্য এবং চরম মুসলিম বিদ্বেষী ওয়াসিম রিজভীর পবিত্র কোরআন শরীফ বিরোধী জঘন্য ষড়যন্ত্র সামনে এল। বিশ্বের ১৬০ কোটি মুসলমানের প্রাণপ্রিয় পথনির্দেশিকা এই মহাগ্রন্থ থেকে ২৬ টি আয়াত বাদ দিয়ে নতুন এক তথাকথিত কুরআন শরীফ তৈরি করেছে উত্তর প্রদেশের শিয়া সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের এই প্রাক্তন চেয়ারম্যান ওয়াসিম রিজভী।
এই সাম্প্রদায়িক শক্তির দালালের দাবি এই ২৬ টি আয়াতে হিংসা প্রচার করা হয়েছে। তাই এই আয়াত গুলো বাদ দিয়ে অন্যান্য আয়াত গুলো তাঁর ইচ্ছা মতো সাজিয়ে একটি ‘নতুন কুরআন’ তৈরি করেছে সে।
রিজভী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দেশের সকল মাদ্রাসা ও মুসলিম ইনস্টিটিউটে তাঁর ‘নতুন কোরআন’ ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়ার জন্যও আবেদন করেছে ইতিমধ্যে। এছাড়াও এই তথাকথিত কুরআনটি সে বাজারে মুসলিম বিদ্বেষীদের ক্রয়ের জন্য উপলব্ধ করবে বলে জানিয়েছে।
“আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এই নতুন কুরআনকে সারা দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসা এবং মুসলিম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষা পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবেদন করছি। কুরআনের এই সংস্করণটি সঠিক কোরআন এবং এটি শীঘ্রই বাজারে লোকদের কাছে উপলভ্য হবে কিনুন।” দাবি কিছুদিন আগে গণপ্রহারে সর্বসমক্ষে বিবস্ত্র হয়ে যাওয়া এই গেরুয়া দালালের।
এ বছরের শুরুর দিকে, ওয়াসিম রিজভী কুরআনের ২৬ টি আয়াত সরিয়ে নিতে সুপ্রিম কোর্টে পিআইএল দায়ের করে এই অভিযোগে যে তারা এই সন্ত্রাস ও জিহাদকে প্রচার করে।
তবে আদালত এই আবেদনটিকে “একেবারে অবজ্ঞাপূর্ণ” আখ্যা দিয়ে পিআইএল দায়েরের জন্য ওয়াসিম রিজভীর বিরুদ্ধে ৫০,০০০ টাকা জরিমানা জারি করেন। পরবর্তীতে রিজভীর বিরুদ্ধে ইচ্ছা করে ধর্মীয় গোষ্ঠীর অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার কারণে অভিযোগ দায়ের করা হলেও গেরুয়া শক্তির অনুগ্রহ প্রাপ্ত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
শিয়া ও সুন্নি উভয় সম্প্রদায়ই অভিযোগ করেছে ওয়াসিম রিজভী ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবাদ চালানোর চেষ্টা করেছেন।
শিয়া আলেম মাওলানা কালবে জাওয়াদ বলেছেন যে রিজভী ‘ইসলামের শত্রু’ এবং কুরআনের সাথে তার কোনদিনই কোনো যোগসূত্র ছিল না।
“পবিত্র কুরআন সম্পাদনা বা পুনর্লিখনের দাবি করাও ধর্ম বিরোধিতা ছাড়া কিছু নয়। এটি জাতিকে বিভক্ত করার প্রয়াস। একজন মুসলিম পবিত্র কোরআনে কোনও পরিবর্তন কখনই মেনে নিতে পারে না,” মাওলানা ইয়াসুব আব্বাস বলেন।